ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মে মাসে এলো ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স কক্সবাজার সরকারি কলেজ ম্যানেজমেন্ট ক্লাব গঠন: আহ্বায়ক মেহেদী, সদস্য সচিব সিফাত কক্সবাজার সিটি কলেজে ছাত্রদলের কার্যক্রম ক্ষোভ জানিয়ে শিবিরের স্মারকলিপি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বকেয়া পরিশোধের বিজ্ঞপ্তি সি–ট্রাকে ডাস্টবিন স্থাপনের নির্দেশ মৌসুমি বায়ুর বিস্তার: বৃষ্টি থাকবে ‘ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল: হচ্ছে সরাসরি সম্প্রচার পরিত্যক্ত পুকুরে মিললো বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুর লাশ হাই কোর্টের রায় বাতিল, এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল পিএসজি নাফ নদে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর ফিরলো লাশ হয়ে ছি’নতা’ইকারীর ধা’ক্কা’য় মায়ের সামনে ছেলের প্রা’ণ গেলো সড়কে রামুতে অপারেশন ডেভিল হান্টে ২ আওয়ামীলীগ নেতা আটক নাফ নদে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর ফিরলো লাশ হয়ে

ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল সহজ নয় : রিজওয়ানা হাসান

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো বাতিল করা অতটা সহজ নয়। যে চুক্তিগুলো করা হয়েছে তা থেকে বের হয়ে আসা অনেক ব্যয়বহুল।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আদানিসহ অন্যান্য গ্রুপের অসম চুক্তি হয়েছে। জ্বালানি ভোগ কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি শিল্পগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে যাওয়ার কথা বলা হবে। জ্বালানিখাতের চুক্তিগুলো রিভিউ করার দরকার আছে।

তিনি বলেন, কৃষি অটোরিকশা ব্যবহার সোলারের মাধ্যমে করা যায় কিনা দেখা দরকার। বাংলাদেশের সঙ্গে যে অসম চুক্তিগুলো হয়েছে এর জন্য আমাদের অস্বাভাবিক ব্যয় বহন করতে হচ্ছে।

জ্বালানিবিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, ২৬ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা। ২০৩০ সাল ৩০ হাজারে যাবে ১ হাজার সোলার, বাকিটা জীবাশ্ম জ্বালানি। ১২০০ বিলিয়ন ডলার পেনাল্টি দিতে হবে। নিউক্লিয়ার ৪০ বছর চলবে।

তিনি বলেন, ৭ হাজার মেগাওয়াট বেসলোড। তেলভিত্তিক নয়। গরমের দিনে আমাদের ১৩ হাজার মেগাওয়াট বেসলোড হয়। আমাদের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াট। ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিয়ে যেতে হবে।

ড. ম তামিম বলেন, জেলাভিত্তিক চাহিদা অনুসারে ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমটা চিন্তা করে সাজাতে হবে। ফ্যান ও এস এর কারণে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। রাজনীতিবিদরা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী নয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ থেকে ৬ বছর পর বিদ্যুৎ খাত কেমন হবে সে বিষয়টি নিয়ে এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

মে মাসে এলো ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স

This will close in 6 seconds

ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল সহজ নয় : রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় : ০২:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো বাতিল করা অতটা সহজ নয়। যে চুক্তিগুলো করা হয়েছে তা থেকে বের হয়ে আসা অনেক ব্যয়বহুল।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আদানিসহ অন্যান্য গ্রুপের অসম চুক্তি হয়েছে। জ্বালানি ভোগ কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি শিল্পগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে যাওয়ার কথা বলা হবে। জ্বালানিখাতের চুক্তিগুলো রিভিউ করার দরকার আছে।

তিনি বলেন, কৃষি অটোরিকশা ব্যবহার সোলারের মাধ্যমে করা যায় কিনা দেখা দরকার। বাংলাদেশের সঙ্গে যে অসম চুক্তিগুলো হয়েছে এর জন্য আমাদের অস্বাভাবিক ব্যয় বহন করতে হচ্ছে।

জ্বালানিবিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, ২৬ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা। ২০৩০ সাল ৩০ হাজারে যাবে ১ হাজার সোলার, বাকিটা জীবাশ্ম জ্বালানি। ১২০০ বিলিয়ন ডলার পেনাল্টি দিতে হবে। নিউক্লিয়ার ৪০ বছর চলবে।

তিনি বলেন, ৭ হাজার মেগাওয়াট বেসলোড। তেলভিত্তিক নয়। গরমের দিনে আমাদের ১৩ হাজার মেগাওয়াট বেসলোড হয়। আমাদের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াট। ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিয়ে যেতে হবে।

ড. ম তামিম বলেন, জেলাভিত্তিক চাহিদা অনুসারে ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমটা চিন্তা করে সাজাতে হবে। ফ্যান ও এস এর কারণে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। রাজনীতিবিদরা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী নয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ থেকে ৬ বছর পর বিদ্যুৎ খাত কেমন হবে সে বিষয়টি নিয়ে এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে।