রিমঝিম বড়ুয়া। বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিলো আগামী ৬ জুলাই। কিন্তু সাত পাকে বাঁধা পড়ার আগেই রিমঝিমের নিথর দেহ এখন হাসপাতালের মর্গে।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজারের রামুর রশিদ নগরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে রিমঝিমের।
তার নিজ এলাকা রামু রাজারকুলের ইউপি সদস্য স্বপন বড়ুয়া জানান, দিনমজুর হিমাংশু বড়ুয়ার মেয়ে রিমঝিমের বিয়ের দিন ধার্য্য ছিলো আগামী ৫জুলাই। মূলত বিয়ের বাজার করতে যাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম। পথিমধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হন এবং প্রাণ হারান।
পরিবারের বরাত দিয়ে স্বপন বড়ুয়া বলেন, “চট্টগ্রামের পটিয়ায় রিমঝিমের হবু শ্বশুর বাড়ি। আর তার ছোটবোন চট্টগ্রামে পড়ালেখা করেন। আজ সবাই মিলে বিয়ের বাজার করার কথা ছিলো তাদের। সেকারণেই সকালে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রামুর বাইপাস থেকে পূরবী বাসে উঠেন।”
“রামুর বাইপাস থেকে ঘটনাস্থল রশিদ নগরের দূরত্ব মাত্র মিনিটের কাছাকাছি। হয়তো বাসে উঠার মিনিট না পেরোনোর আগেই মৃত্যু হয় রিমঝিমের” বলেন স্বপন বড়ুয়া।
রিমঝিম বড়ুয়া একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী হিসেবে উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে কাজ করতেন।
এদিকে রামু ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ওসি নাসির উদ্দীন জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যানের সাথে বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি উলটে সড়কের পাশে পড়ে যায়।
ওসি বলেন, রিমঝিমসহ এঘটনায় আরো দুই জন নিহত হয়েছে। তারা হলেন, কক্সবাজার সদরের পিএমখালী এলাকার হাবিবউল্লাহ ও তার ৯ বছরের শিশু সন্তান মো. রিয়াদ। নিহতদের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। যাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে তথ্য দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।