ঢাকা ১২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফজরের নামাজের পর যে আমলের ফজিলত বেশি বান্দরবানের পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১৩ জন ড. ইউনূসের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্বে’ না জড়ানোর পরামর্শ খালেদা জিয়ার সৈকতে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ রোহিঙ্গা শিশুর মরদেহ উদ্ধার পেকুয়ায় ইঁদুর নাশক ওষুধ খেয়ে কিশোরের মৃত্যু বাড়ছে করোনা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা বিজিবি বলছে ‘আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা ফায়ার’ উড্ডয়নকালে কেন একই খাবার দেয়া হয় না পাইলট ও কো-পাইলট কে? কচ্ছপিয়ায় ৪০০ পরিবারকে কোরবানির গরুর মাংস বিতরণ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ৭টি দেশীয় বন্দুকসহ আটক এক বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়- পেকুয়ায় সালাহউদ্দিন ১৬ ঘন্টায় ৬ মরদেহ উদ্ধার কক্সবাজার উপকূলে সৈকতে গোসলে নেমে প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের
টেকনাফে 'স্থানীয়দের' সাথে সংঘর্ষ

বিজিবি বলছে ‘আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা ফায়ার’

টেকনাফের মৌলভীবাজারে এক ব্যক্তিকে আটক করাকে কেন্দ্র করে সোমবার (৯জুন) বিকেলে ‘স্থানীয়দের’ সাথে সংঘর্ষের ঘটনায়, বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বক্তব্য পাঠানো হয়েছে।

৬৪ বিজিবি থেকে মঙ্গলবার সকালে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ইয়াবা গডফাদারকে স্থানীয় জনগণ কর্তৃক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় পরবর্তীতে আত্মরক্ষার্থে বিজিবি ফাঁকা ফায়ার করে”।

বিজিবি বলছে, “২৮ মে দায়ের করা একটি মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করতে গেলে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আনুমানিক ৫০-৬০ জন জেলে ও স্থানীয় জনগনের সাথে বিজিবি সদস্যদের বাগ বিতন্ডা হয়। তবে আসামিকে কৌশলে বিওপিতে নিয়ে আসলেও চোরাকারবারিরা স্থানীয় জনগণকে জড়ো করে বিওপি ঘেরাও করে। এসময় ওই আসামীর আত্মীয়-স্বজন, মানব পাচারকারী, চোরাকারবারি, জেলে এবং স্থানীয় লোকজন হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভী বাজার এলাকায় চৌরাস্তায় টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও নৌকা দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।”

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি আরো জানায়, বিওপি’র নিরাপত্তার স্বার্থে উখিয়া ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঘটনাস্থল অতিক্রম করার সময় উত্তেজিত জনতা বিজিবি সদস্যদের উপর দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠি ও ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা করে এবং বিজিবি’র গাড়ি ভাংচুর করে। এছাড়া বিজিবি সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।”

“এমন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার্থে, সরকারি সম্পত্তি ও সাধারণ জনসাধানের জান-মাল রক্ষার্থে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা ফায়ার করে।”

এছাড়া উত্তেজিত জনতার হামলায় উখিয়া ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়কসহ ১০ জন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার খবর জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। যাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বিজিবির দাবী, “গত ২৮ মে হ্নীলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় মানব পাচারকারী ও মাদক চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) কর্তৃক সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আনুমানিক ৪০/৫০ জন সিভিল সদস্য বিজিবির টহল দলকে বাঁধা প্রদান করে। এমনকি জাহাঙ্গীর আলম তার নেতৃত্বে লোকজন জড়ো করে বেআইনীভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরে বিজিবি জাহাঙ্গীর আলম ও তার ১৫ জন অনুসারীসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।”

মূলত ওই মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করতে গেলে সোমবার স্থানীয়দের সাথে বিজিবির এ ঘটনা ঘটে।

এতে ১০-১৫ জন স্থানীয় গুলিবিদ্ধ হওয়ার দাবী করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহত এবং তাদের স্বজনরা। যা নিয়ে সোমবার রাতে টিটিএনে প্রকাশিত সংবাদে বিস্তারিত আছে।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

টেকনাফে 'স্থানীয়দের' সাথে সংঘর্ষ

বিজিবি বলছে ‘আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা ফায়ার’

আপডেট সময় : ০৩:১০:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

টেকনাফের মৌলভীবাজারে এক ব্যক্তিকে আটক করাকে কেন্দ্র করে সোমবার (৯জুন) বিকেলে ‘স্থানীয়দের’ সাথে সংঘর্ষের ঘটনায়, বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বক্তব্য পাঠানো হয়েছে।

৬৪ বিজিবি থেকে মঙ্গলবার সকালে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ইয়াবা গডফাদারকে স্থানীয় জনগণ কর্তৃক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় পরবর্তীতে আত্মরক্ষার্থে বিজিবি ফাঁকা ফায়ার করে”।

বিজিবি বলছে, “২৮ মে দায়ের করা একটি মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করতে গেলে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আনুমানিক ৫০-৬০ জন জেলে ও স্থানীয় জনগনের সাথে বিজিবি সদস্যদের বাগ বিতন্ডা হয়। তবে আসামিকে কৌশলে বিওপিতে নিয়ে আসলেও চোরাকারবারিরা স্থানীয় জনগণকে জড়ো করে বিওপি ঘেরাও করে। এসময় ওই আসামীর আত্মীয়-স্বজন, মানব পাচারকারী, চোরাকারবারি, জেলে এবং স্থানীয় লোকজন হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভী বাজার এলাকায় চৌরাস্তায় টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও নৌকা দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।”

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি আরো জানায়, বিওপি’র নিরাপত্তার স্বার্থে উখিয়া ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঘটনাস্থল অতিক্রম করার সময় উত্তেজিত জনতা বিজিবি সদস্যদের উপর দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠি ও ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা করে এবং বিজিবি’র গাড়ি ভাংচুর করে। এছাড়া বিজিবি সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।”

“এমন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার্থে, সরকারি সম্পত্তি ও সাধারণ জনসাধানের জান-মাল রক্ষার্থে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা ফায়ার করে।”

এছাড়া উত্তেজিত জনতার হামলায় উখিয়া ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়কসহ ১০ জন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার খবর জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। যাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বিজিবির দাবী, “গত ২৮ মে হ্নীলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় মানব পাচারকারী ও মাদক চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) কর্তৃক সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আনুমানিক ৪০/৫০ জন সিভিল সদস্য বিজিবির টহল দলকে বাঁধা প্রদান করে। এমনকি জাহাঙ্গীর আলম তার নেতৃত্বে লোকজন জড়ো করে বেআইনীভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরে বিজিবি জাহাঙ্গীর আলম ও তার ১৫ জন অনুসারীসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।”

মূলত ওই মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করতে গেলে সোমবার স্থানীয়দের সাথে বিজিবির এ ঘটনা ঘটে।

এতে ১০-১৫ জন স্থানীয় গুলিবিদ্ধ হওয়ার দাবী করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহত এবং তাদের স্বজনরা। যা নিয়ে সোমবার রাতে টিটিএনে প্রকাশিত সংবাদে বিস্তারিত আছে।