টেকনাফের মৌলভীবাজারে এক ব্যক্তিকে আটক করাকে কেন্দ্র করে সোমবার (৯জুন) বিকেলে ‘স্থানীয়দের’ সাথে সংঘর্ষের ঘটনায়, বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বক্তব্য পাঠানো হয়েছে।
৬৪ বিজিবি থেকে মঙ্গলবার সকালে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ইয়াবা গডফাদারকে স্থানীয় জনগণ কর্তৃক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় পরবর্তীতে আত্মরক্ষার্থে বিজিবি ফাঁকা ফায়ার করে”।
বিজিবি বলছে, “২৮ মে দায়ের করা একটি মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করতে গেলে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আনুমানিক ৫০-৬০ জন জেলে ও স্থানীয় জনগনের সাথে বিজিবি সদস্যদের বাগ বিতন্ডা হয়। তবে আসামিকে কৌশলে বিওপিতে নিয়ে আসলেও চোরাকারবারিরা স্থানীয় জনগণকে জড়ো করে বিওপি ঘেরাও করে। এসময় ওই আসামীর আত্মীয়-স্বজন, মানব পাচারকারী, চোরাকারবারি, জেলে এবং স্থানীয় লোকজন হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভী বাজার এলাকায় চৌরাস্তায় টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও নৌকা দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি আরো জানায়, বিওপি’র নিরাপত্তার স্বার্থে উখিয়া ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঘটনাস্থল অতিক্রম করার সময় উত্তেজিত জনতা বিজিবি সদস্যদের উপর দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠি ও ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা করে এবং বিজিবি’র গাড়ি ভাংচুর করে। এছাড়া বিজিবি সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।”
“এমন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার্থে, সরকারি সম্পত্তি ও সাধারণ জনসাধানের জান-মাল রক্ষার্থে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা ফায়ার করে।”
এছাড়া উত্তেজিত জনতার হামলায় উখিয়া ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়কসহ ১০ জন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার খবর জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। যাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বিজিবির দাবী, “গত ২৮ মে হ্নীলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় মানব পাচারকারী ও মাদক চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) কর্তৃক সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আনুমানিক ৪০/৫০ জন সিভিল সদস্য বিজিবির টহল দলকে বাঁধা প্রদান করে। এমনকি জাহাঙ্গীর আলম তার নেতৃত্বে লোকজন জড়ো করে বেআইনীভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরে বিজিবি জাহাঙ্গীর আলম ও তার ১৫ জন অনুসারীসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।”
মূলত ওই মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করতে গেলে সোমবার স্থানীয়দের সাথে বিজিবির এ ঘটনা ঘটে।
এতে ১০-১৫ জন স্থানীয় গুলিবিদ্ধ হওয়ার দাবী করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহত এবং তাদের স্বজনরা। যা নিয়ে সোমবার রাতে টিটিএনে প্রকাশিত সংবাদে বিস্তারিত আছে।