ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাবেক মন্ত্রী কামরুলের ১৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ মহেশখালীর গোরকঘাটায় পাওয়া যাবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সব সেবা সংঘবদ্ধ ধর্ষণসহ ২৮ মামলার আসামী আশিক গ্রেফতার দেশে আওয়ামী লীগ নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ মহেশখালীতে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার: পরিবারের দাবি হত্যা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির ৯ আসামিসহ সবাই খালাস বিজ্ঞাপনী সংস্থা কক্স এ্যাড ও ফাহিম এ্যাড এর মালিক আবছার,হারুন ও জাহেদ এর বিরুদ্ব্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ রমজানে পণ্য মূল্যের কোন ব্যত্যয় হবে না- বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন কেন নয়: হাইকোর্টের রুল যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ঘুরে দেখলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে দুদকের চিঠি দেশে ক্যানসার চিকিৎসা এখনও অপ্রতুল শাবান মাসে নফল রোজা রাখবেন যেভাবে বিপিএলে যেমন খেলছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ স্কোয়াডের ১৫ তারকা

৭৯ জন জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি ২ জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 179

বাংলাদেশের ৭৯ জেলে-নাবিকসহ ২টি জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি দুটি মাছ ধরার জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। জাহাজ দুটি হলো এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২।

খুলনা অঞ্চলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে সামুদ্রিক মৎস্য দফ্তরে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে জাহাজ দুটির মালিকপক্ষ।

বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন অফিস সেক্রেটারি আবিদ হাসান বলেন, এফভি লায়লা-২ ফিশিং জাহাজটির মালিক সিদ্দিকুর রহমান। তাদের অপারেশন কোম্পানির নাম ‘এস আর ফিশিং’। এফভি মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজের মালিক এমএ ওয়াহেদ, অপারেশন কোম্পানির নাম সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড।

সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আনসারুল হক আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাহাজের নাবিকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা সবশেষ খবর পেয়েছি, জাহাজ দুটিকে ভারতের উড়িষ্যার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছি। এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হলে সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

জানা গেছে, এফভি মেঘনা-৫ এ নাবিকসহ ৩৭ জন ও এফভি লায়লা-২ এ ৪২ জনসহ জেলে ছিলেন। তবে কী কারণে ট্রলারগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।

তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সরকারি কোনও কর্তৃপক্ষ থেকে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেনি। নির্দিষ্ট কোন অবস্থান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কারা কেন ধরে নিয়ে গেছে; সেসব বিষয়েরও উত্তর পাওয়া যায়নি।

নৌ-পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডোর মাকসুদ আলম জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। খতিয়ে দেখে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

সামুদ্রিক মৎস্য দফতরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে এখনও অবগত নই। অফিসে খবর নিয়ে জানাতে পারবো।’

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে এ ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু কোনও চিঠি বা অভিযোগ পাননি। ফলে ঘটনাটি কোন লোকেশনে ঘটছে তাও জানতে পারছেন না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কামরুলের ১৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

This will close in 6 seconds

৭৯ জন জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি ২ জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

আপডেট সময় : ০৮:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি দুটি মাছ ধরার জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। জাহাজ দুটি হলো এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২।

খুলনা অঞ্চলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে সামুদ্রিক মৎস্য দফ্তরে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে জাহাজ দুটির মালিকপক্ষ।

বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন অফিস সেক্রেটারি আবিদ হাসান বলেন, এফভি লায়লা-২ ফিশিং জাহাজটির মালিক সিদ্দিকুর রহমান। তাদের অপারেশন কোম্পানির নাম ‘এস আর ফিশিং’। এফভি মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজের মালিক এমএ ওয়াহেদ, অপারেশন কোম্পানির নাম সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড।

সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আনসারুল হক আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাহাজের নাবিকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা সবশেষ খবর পেয়েছি, জাহাজ দুটিকে ভারতের উড়িষ্যার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছি। এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হলে সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

জানা গেছে, এফভি মেঘনা-৫ এ নাবিকসহ ৩৭ জন ও এফভি লায়লা-২ এ ৪২ জনসহ জেলে ছিলেন। তবে কী কারণে ট্রলারগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।

তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সরকারি কোনও কর্তৃপক্ষ থেকে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেনি। নির্দিষ্ট কোন অবস্থান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কারা কেন ধরে নিয়ে গেছে; সেসব বিষয়েরও উত্তর পাওয়া যায়নি।

নৌ-পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডোর মাকসুদ আলম জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। খতিয়ে দেখে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

সামুদ্রিক মৎস্য দফতরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে এখনও অবগত নই। অফিসে খবর নিয়ে জানাতে পারবো।’

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে এ ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু কোনও চিঠি বা অভিযোগ পাননি। ফলে ঘটনাটি কোন লোকেশনে ঘটছে তাও জানতে পারছেন না।