ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি

পেকুয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ আরিফ(২০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত১১ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার রাজাখালী ইউপির নতুন ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় আসামিরা হলেন, কবির হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফ এবং এলাকার সর্দার রফিক আলম। অভিযুক্ত মোঃ আরিফ একই এলাকার কবির  হোসেন প্রকাশ নুদামাঝির ছেলে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশি আরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসলেও সে রাজি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে অভিযুক্ত আরিফ ভিকটিম কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকার শুনে পিতা-মাতা এবং স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে আরিফকে  হাতেনাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হলে সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে আরিফকে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।

কিশোরীর পিতা বলেন, সর্দার রফিক আলম পরদিন সকালে বিচারের কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং জানান, আরিফ পালিয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, সর্দার ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। আমার তিন মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী। আমি মেয়ে ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন শহিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং ভিকটিমের পরিবারকে ধর্ষণের মামলা করতে থানায় যেতে বলেছি। ভিকটিমের পিতা একজন দিনমজুর এবং অত্যন্ত গরিব। ঘটনাটি খুব অমানবিক হয়েছে। তার একে একে ৩টি মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী।

অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম টমটম চালক বলে জানা গেছ। তার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম দাবি করেন, দু’পক্ষের সম্মতিতে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার পরে তা মেনে নেয়নি। আরিফকে আমার জিম্মায় ছাড়া হয় নি। সিরাজুল ইসলাম নামের ভিকটিমের আত্মীয় আরিফকে ঘটনার দিন রাতে ছেড়ে দিয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংস করা যায় কি না জানতে চাইলে রফিক আলম বলেন, এ ধরণের অনেক ঘটনা আমরা স্থানীয়ভাবে আগেও নিষ্পত্তি করেছি। সে লক্ষে সমাধান করার চেষ্টা করছিলাম।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে গতকাল রাতে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে

This will close in 6 seconds

পেকুয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

আপডেট সময় : ০১:০০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ আরিফ(২০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত১১ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার রাজাখালী ইউপির নতুন ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় আসামিরা হলেন, কবির হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফ এবং এলাকার সর্দার রফিক আলম। অভিযুক্ত মোঃ আরিফ একই এলাকার কবির  হোসেন প্রকাশ নুদামাঝির ছেলে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশি আরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসলেও সে রাজি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে অভিযুক্ত আরিফ ভিকটিম কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকার শুনে পিতা-মাতা এবং স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে আরিফকে  হাতেনাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হলে সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে আরিফকে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।

কিশোরীর পিতা বলেন, সর্দার রফিক আলম পরদিন সকালে বিচারের কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং জানান, আরিফ পালিয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, সর্দার ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। আমার তিন মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী। আমি মেয়ে ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন শহিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং ভিকটিমের পরিবারকে ধর্ষণের মামলা করতে থানায় যেতে বলেছি। ভিকটিমের পিতা একজন দিনমজুর এবং অত্যন্ত গরিব। ঘটনাটি খুব অমানবিক হয়েছে। তার একে একে ৩টি মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী।

অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম টমটম চালক বলে জানা গেছ। তার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম দাবি করেন, দু’পক্ষের সম্মতিতে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার পরে তা মেনে নেয়নি। আরিফকে আমার জিম্মায় ছাড়া হয় নি। সিরাজুল ইসলাম নামের ভিকটিমের আত্মীয় আরিফকে ঘটনার দিন রাতে ছেড়ে দিয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংস করা যায় কি না জানতে চাইলে রফিক আলম বলেন, এ ধরণের অনেক ঘটনা আমরা স্থানীয়ভাবে আগেও নিষ্পত্তি করেছি। সে লক্ষে সমাধান করার চেষ্টা করছিলাম।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে গতকাল রাতে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।