ধনেপাতা এমনিতে শীত মৌসুমের ফসল। তবে এখন বছরজুড়েই পাওয়া যায়। সারা বছর যে ধনেপাতা পাওয়া যায়, তার স্বাদ ও ঘ্রাণ একটু আলাদা হলেও পুষ্টি উপাদান ঠিকঠাকই থাকে। যে মৌসুমেই খাওয়া হোক, কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।
যা পাবেন
ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার আর জিংক। আরও আছে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আঁশ ও কিছুটা আমিষ। এর জলীয় অংশও আমাদের দেহের কাজে আসে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে ধনেপাতা সহায়ক। এ ছাড়া ধনেপাতার স্বাদটাই এমন যে তা আমাদের লালার নিঃসরণ বাড়ায়। অর্থাৎ আমাদের হজমপ্রক্রিয়ায়ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে ধনেপাতা।
যেভাবে খাওয়া হয়
অনেক ধরনের পদেই ব্যবহার করা হয় ধনেপাতা। মাছের তরকারিতে যেমন চুলা থেকে নামিয়ে নেওয়ার আগে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ধনেপাতা। কেউ দেন ডালে। দেওয়া যায় লাউ রান্নার সময়ও। নানা পদের তরকারিতেই দেওয়া যায় সুস্বাদু এ পাতা।
কেউ তৈরি করেন ধনেপাতার ভর্তা কিংবা চাটনি। লবণ, রসুন, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, শর্ষের তেল প্রভৃতি উপকরণ দেওয়া এমন পদ রসনার তৃপ্তি মেটায়।
কেউ কেউ আবার শুঁটকি বা অন্যান্য উপকরণের ভর্তায় যোগ করেন ধনেপাতা। কেউ ধনেপাতা ছড়িয়ে নেন চটপটি বা ফুচকায়। কেউ ছোলা বা মুড়ি মাখানোর সময়ও যোগ করেন এ পাতা।
কেউ আবার ধনেপাতা যোগ করেন সালাদে। বিভিন্ন ধরনের টকফলের সঙ্গে ধনেপাতা যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। কেউ আবার পানীয়ও ব্যবহার করেন ধনেপাতা।
যেভাবে খেলে যে সুবিধা
ভর্তা বা চাটনির মতো পদে ধনেপাতার পরিমাণটা অন্যান্য পদের চেয়ে বেশি থাকে। তাই ধনেপাতার এ ধরনের পদ থেকে বেশ খানিকটা পুষ্টি পাবেন। অন্যান্য পদে ধনেপাতার পরিমাণ কম থাকায় পুষ্টি উপাদানও থাকে কম পরিমাণে।
সব পুষ্টি উপাদান ঠিকঠাক পেতে হলে ধনেপাতা এমনভাবে খাওয়া ভালো, যাতে তা চুলার তাপে দেওয়ার প্রয়োজন না হয়। তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়।
টকফলের সঙ্গে ধনেপাতা যোগ করা হলে দুয়ে মিলে ভিটামিন সির পরিমাণটা বাড়ে।
ভর্তা বা চাটনিতে ধনেপাতার ডাঁটার অংশও থাকে, তাই তাতে আঁশ পাবেন বেশি।
অসুস্থ অবস্থায় যখন রুচি থাকে না কিংবা খাবার খেতে গেলে গন্ধ লাগে, তখন ধনেপাতার চাটনি বা ভর্তা দিয়ে ভাত, মাছ-মাংস বা তরকারি খাওয়া যায় সহজে।
সূত্র:প্রথম আলো