ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বড়ঘোপ বাজার কালী মন্দির পাড়ায় অগ্নিকান্ডে ৬ বসতঘর, ২ দোকান পুড়ে ছাই টেকনাফে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন: শাহ জাহান চৌধুরী ও সেলিনা সুলতানা নিশীতার ঐক্যের ডাক নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে: সেনাপ্রধান ভালো ফল করেও অনার্স শেষ হলোনা রামুর সেই উষা বড়ুয়ার রামুর আলেচিত টমটম চালক সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে পুলিশ দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, শহুরে কর্মজীবীদের তিন-চতুর্থাংশই ভুক্তভোগী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর মহেশখালী-কুতুবদিয়া সংসদীয় আসনের জন্য এনসিপি থেকে মনোনয়ন ফরম নিলেন এডভোকেট নাজমুস সাকিব বেঁচে থাকাটাই আনন্দের: বিদ্যা সিনহা মিম যেদিন সম্পদ ও সন্তান কোনো কাজে আসবে না উখিয়ার খালে মিলল নারীর বস্তাবন্দি ম’র’দে’হ, প’লা’তক স্বামী ‘চুমু’ নিয়ে প্রেমিকা শিপুর সাথে অভিমানে সৌরভের আ’ত্ম’হত্যা! – দাবী বন্ধুদের ‘লক্ষী আসন’ খ্যাত কক্সবাজার-৪ এ এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন ক্রীড়া সংগঠক হোসাইন

ধনেপাতা কেন খাবেন, কীভাবে খাবেন

ধনেপাতা এমনিতে শীত মৌসুমের ফসল। তবে এখন বছরজুড়েই পাওয়া যায়। সারা বছর যে ধনেপাতা পাওয়া যায়, তার স্বাদ ও ঘ্রাণ একটু আলাদা হলেও পুষ্টি উপাদান ঠিকঠাকই থাকে। যে মৌসুমেই খাওয়া হোক, কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।

যা পাবেন
ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার আর জিংক। আরও আছে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আঁশ ও কিছুটা আমিষ। এর জলীয় অংশও আমাদের দেহের কাজে আসে।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে ধনেপাতা সহায়ক। এ ছাড়া ধনেপাতার স্বাদটাই এমন যে তা আমাদের লালার নিঃসরণ বাড়ায়। অর্থাৎ আমাদের হজমপ্রক্রিয়ায়ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে ধনেপাতা।

যেভাবে খাওয়া হয়
অনেক ধরনের পদেই ব্যবহার করা হয় ধনেপাতা। মাছের তরকারিতে যেমন চুলা থেকে নামিয়ে নেওয়ার আগে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ধনেপাতা। কেউ দেন ডালে। দেওয়া যায় লাউ রান্নার সময়ও। নানা পদের তরকারিতেই দেওয়া যায় সুস্বাদু এ পাতা।

কেউ তৈরি করেন ধনেপাতার ভর্তা কিংবা চাটনি। লবণ, রসুন, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, শর্ষের তেল প্রভৃতি উপকরণ দেওয়া এমন পদ রসনার তৃপ্তি মেটায়।

কেউ কেউ আবার শুঁটকি বা অন্যান্য উপকরণের ভর্তায় যোগ করেন ধনেপাতা। কেউ ধনেপাতা ছড়িয়ে নেন চটপটি বা ফুচকায়। কেউ ছোলা বা মুড়ি মাখানোর সময়ও যোগ করেন এ পাতা।

কেউ আবার ধনেপাতা যোগ করেন সালাদে। বিভিন্ন ধরনের টকফলের সঙ্গে ধনেপাতা যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। কেউ আবার পানীয়ও ব্যবহার করেন ধনেপাতা।

যেভাবে খেলে যে সুবিধা
ভর্তা বা চাটনির মতো পদে ধনেপাতার পরিমাণটা অন্যান্য পদের চেয়ে বেশি থাকে। তাই ধনেপাতার এ ধরনের পদ থেকে বেশ খানিকটা পুষ্টি পাবেন। অন্যান্য পদে ধনেপাতার পরিমাণ কম থাকায় পুষ্টি উপাদানও থাকে কম পরিমাণে।

সব পুষ্টি উপাদান ঠিকঠাক পেতে হলে ধনেপাতা এমনভাবে খাওয়া ভালো, যাতে তা চুলার তাপে দেওয়ার প্রয়োজন না হয়। তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়।

টকফলের সঙ্গে ধনেপাতা যোগ করা হলে দুয়ে মিলে ভিটামিন সির পরিমাণটা বাড়ে।

ভর্তা বা চাটনিতে ধনেপাতার ডাঁটার অংশও থাকে, তাই তাতে আঁশ পাবেন বেশি।

অসুস্থ অবস্থায় যখন রুচি থাকে না কিংবা খাবার খেতে গেলে গন্ধ লাগে, তখন ধনেপাতার চাটনি বা ভর্তা দিয়ে ভাত, মাছ-মাংস বা তরকারি খাওয়া যায় সহজে।

সূত্র:প্রথম আলো

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বড়ঘোপ বাজার কালী মন্দির পাড়ায় অগ্নিকান্ডে ৬ বসতঘর, ২ দোকান পুড়ে ছাই

This will close in 6 seconds

ধনেপাতা কেন খাবেন, কীভাবে খাবেন

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ধনেপাতা এমনিতে শীত মৌসুমের ফসল। তবে এখন বছরজুড়েই পাওয়া যায়। সারা বছর যে ধনেপাতা পাওয়া যায়, তার স্বাদ ও ঘ্রাণ একটু আলাদা হলেও পুষ্টি উপাদান ঠিকঠাকই থাকে। যে মৌসুমেই খাওয়া হোক, কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।

যা পাবেন
ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার আর জিংক। আরও আছে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আঁশ ও কিছুটা আমিষ। এর জলীয় অংশও আমাদের দেহের কাজে আসে।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে ধনেপাতা সহায়ক। এ ছাড়া ধনেপাতার স্বাদটাই এমন যে তা আমাদের লালার নিঃসরণ বাড়ায়। অর্থাৎ আমাদের হজমপ্রক্রিয়ায়ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে ধনেপাতা।

যেভাবে খাওয়া হয়
অনেক ধরনের পদেই ব্যবহার করা হয় ধনেপাতা। মাছের তরকারিতে যেমন চুলা থেকে নামিয়ে নেওয়ার আগে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ধনেপাতা। কেউ দেন ডালে। দেওয়া যায় লাউ রান্নার সময়ও। নানা পদের তরকারিতেই দেওয়া যায় সুস্বাদু এ পাতা।

কেউ তৈরি করেন ধনেপাতার ভর্তা কিংবা চাটনি। লবণ, রসুন, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, শর্ষের তেল প্রভৃতি উপকরণ দেওয়া এমন পদ রসনার তৃপ্তি মেটায়।

কেউ কেউ আবার শুঁটকি বা অন্যান্য উপকরণের ভর্তায় যোগ করেন ধনেপাতা। কেউ ধনেপাতা ছড়িয়ে নেন চটপটি বা ফুচকায়। কেউ ছোলা বা মুড়ি মাখানোর সময়ও যোগ করেন এ পাতা।

কেউ আবার ধনেপাতা যোগ করেন সালাদে। বিভিন্ন ধরনের টকফলের সঙ্গে ধনেপাতা যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। কেউ আবার পানীয়ও ব্যবহার করেন ধনেপাতা।

যেভাবে খেলে যে সুবিধা
ভর্তা বা চাটনির মতো পদে ধনেপাতার পরিমাণটা অন্যান্য পদের চেয়ে বেশি থাকে। তাই ধনেপাতার এ ধরনের পদ থেকে বেশ খানিকটা পুষ্টি পাবেন। অন্যান্য পদে ধনেপাতার পরিমাণ কম থাকায় পুষ্টি উপাদানও থাকে কম পরিমাণে।

সব পুষ্টি উপাদান ঠিকঠাক পেতে হলে ধনেপাতা এমনভাবে খাওয়া ভালো, যাতে তা চুলার তাপে দেওয়ার প্রয়োজন না হয়। তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়।

টকফলের সঙ্গে ধনেপাতা যোগ করা হলে দুয়ে মিলে ভিটামিন সির পরিমাণটা বাড়ে।

ভর্তা বা চাটনিতে ধনেপাতার ডাঁটার অংশও থাকে, তাই তাতে আঁশ পাবেন বেশি।

অসুস্থ অবস্থায় যখন রুচি থাকে না কিংবা খাবার খেতে গেলে গন্ধ লাগে, তখন ধনেপাতার চাটনি বা ভর্তা দিয়ে ভাত, মাছ-মাংস বা তরকারি খাওয়া যায় সহজে।

সূত্র:প্রথম আলো