ঢাকা ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাখাইনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে: ড. খলিলুর রহমান রামু বাইপাসে ‘খালেকুজ্জামান চত্বর’ পূনর্বহালের দাবিতে হাজারো মানুষের মানববন্ধন খালেদা জিয়া নারী শিক্ষায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন: রামুতে কাজল ভারতে থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৬ জন নিহত ঐক্যবদ্ধ না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হবে : তারেক রহমান সাংবাদিকদের ৩টি কলিজা লাগে: জামায়াত আমির তারা নাকি জান্নাতের টিকিট দেবে, নাউজুবিল্লাহ: সালাহউদ্দিন আহমদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলেই কি কক্সবাজারে পর্যটনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে? রোহিঙ্গা ছাড়া জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সম্মেলন: ‘নায়ক ছাড়া নাটক’ মন্তব্য কক্সবাজার সৈকত দখল ও অব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দুষছে টুরিস্ট পুলিশ টেকনাফে মাটি খুঁড়ে মিললো ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা প্রত্যাবাসন চাই- জাতিসংঘে সম্মেলনের আগে ক্যাম্পে সমাবেশ করে বিশ্বকে রোহিঙ্গাদের বার্তা অবহেলার বোঝা নামিয়ে টেকসই ভবিষ্যতের ডাক চায় সিসিএডি ‘কংক্রিটের ফাঁদে’ কক্সবাজারের পর্যটন: কেনো আসেনা বিদেশিরা? চিকিৎসাধীন ওয়্যারহাউজ পরিদর্শক জান্নাতুল নাঈমের মৃত্যু

দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা ভোগান্তির- সেন্টমার্টিনে ৪ মাসই রাত্রিযাপনের সুযোগ দাবী

আগামী ১ নভেম্বর থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ২ হাজার করে পর্যটক আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন।

বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,’ নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে শুধু দিনের বেলা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করা যাবে। আর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে রাতে অবস্থান করতে পারবেন পর্যটকরা।’

এসময় উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘পর্যটকদের যাওয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। পরিবহনব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে এই সফটওয়্যার পরিচালিত হবে। যদিও সফটওয়্যারের কাজ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।’

পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা এই ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন। ঘোষণা আসার পর প্রবাল দ্বীপে পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

শুধু নভেম্বর-ডিসেম্বরই নয় পূর্ণ চারমাসই রাত্রিযাপনের সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের পরিস্থিতি না থাকায় কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজগুলোকে যাত্রা করতে হবে।

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার রুটে দিনে গিয়ে দিনে ফেরত আসা পর্যটকদের জন্য কষ্টসাধ্য বলে জানান সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ( স্কোয়াব ) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে ১২ ঘণ্টা জার্নি করে এসে কক্সবাজার আবার কক্সবাজার থেকে ৬-৯ ঘণ্টা জার্নি করে সেন্টমার্টিন , তারপর আবারও ৬-৯ ঘণ্টা জার্নি করে কক্সবাজার চলে আসাটা পর্যটকদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এই সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করা উচিত।’

পূর্ণ চারমাসই পর্যটকদের রাত্রিযাপন করার সুযোগ দিলে নানা সমস্যায় জর্জরিত দ্বীপবাসীর জন্য স্বস্তির সংবাদ হবে মনে করেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম।

মুঠোফোনে সেন্টমার্টিন থেকে তিনি বলেন, ‘ আমরা দ্বীপবাসীরা নানা কারণে কষ্ট পাচ্ছি। পর্যটক না আসলে আমাদের দিনযাপন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে এছাড়াও বিধিনিষেধ তো আছে। সরকার যদি চারমাসই পর্যটকদের এখানে রাতে থাকার সুযোগ দেয় তাহলে দ্বীপের মানুষের জীবনযাত্রায় গতি আসবে। আমরা সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করলে খুশি হবো।’

গতবছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজ নিয়ন্ত্রণে যৌথ কমিটি গঠন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট মার্টিনে যেতে হলে পর্যটকদের নিবন্ধনসহ নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

পরে নয় মাস ভ্রমণের জন্য সেন্টমার্টিনে যাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেসময় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতেই ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, সেন্টমার্টিনকে স্থানীয় জনগণ কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাঁচানোর প্রয়াসকে ভিত্তিহীন কথা দিয়ে ভিন্নপথে পরচালিত করার সুযোগ নেই, সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাঁচাতে বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকার নতুন কিছু নয় বরং বহু পুরনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাখাইনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে: ড. খলিলুর রহমান

This will close in 6 seconds

দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা ভোগান্তির- সেন্টমার্টিনে ৪ মাসই রাত্রিযাপনের সুযোগ দাবী

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগামী ১ নভেম্বর থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ২ হাজার করে পর্যটক আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন।

বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,’ নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে শুধু দিনের বেলা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করা যাবে। আর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে রাতে অবস্থান করতে পারবেন পর্যটকরা।’

এসময় উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘পর্যটকদের যাওয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। পরিবহনব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে এই সফটওয়্যার পরিচালিত হবে। যদিও সফটওয়্যারের কাজ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।’

পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা এই ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন। ঘোষণা আসার পর প্রবাল দ্বীপে পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

শুধু নভেম্বর-ডিসেম্বরই নয় পূর্ণ চারমাসই রাত্রিযাপনের সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের পরিস্থিতি না থাকায় কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজগুলোকে যাত্রা করতে হবে।

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার রুটে দিনে গিয়ে দিনে ফেরত আসা পর্যটকদের জন্য কষ্টসাধ্য বলে জানান সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ( স্কোয়াব ) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে ১২ ঘণ্টা জার্নি করে এসে কক্সবাজার আবার কক্সবাজার থেকে ৬-৯ ঘণ্টা জার্নি করে সেন্টমার্টিন , তারপর আবারও ৬-৯ ঘণ্টা জার্নি করে কক্সবাজার চলে আসাটা পর্যটকদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এই সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করা উচিত।’

পূর্ণ চারমাসই পর্যটকদের রাত্রিযাপন করার সুযোগ দিলে নানা সমস্যায় জর্জরিত দ্বীপবাসীর জন্য স্বস্তির সংবাদ হবে মনে করেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম।

মুঠোফোনে সেন্টমার্টিন থেকে তিনি বলেন, ‘ আমরা দ্বীপবাসীরা নানা কারণে কষ্ট পাচ্ছি। পর্যটক না আসলে আমাদের দিনযাপন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে এছাড়াও বিধিনিষেধ তো আছে। সরকার যদি চারমাসই পর্যটকদের এখানে রাতে থাকার সুযোগ দেয় তাহলে দ্বীপের মানুষের জীবনযাত্রায় গতি আসবে। আমরা সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করলে খুশি হবো।’

গতবছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজ নিয়ন্ত্রণে যৌথ কমিটি গঠন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট মার্টিনে যেতে হলে পর্যটকদের নিবন্ধনসহ নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

পরে নয় মাস ভ্রমণের জন্য সেন্টমার্টিনে যাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেসময় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতেই ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, সেন্টমার্টিনকে স্থানীয় জনগণ কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাঁচানোর প্রয়াসকে ভিত্তিহীন কথা দিয়ে ভিন্নপথে পরচালিত করার সুযোগ নেই, সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাঁচাতে বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকার নতুন কিছু নয় বরং বহু পুরনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।