ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আস্থা গড়ার বদলে চাপ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ চৌফলদন্ডীর আমজাদ হত্যার আসামী ছৈয়দ নুর গ্রেফতার সমুদ্রবন্দর থেকে নামল সতর্ক সংকেত রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘের দ্বৈত ন্যারেটিভ: কেন এই দ্বন্দ্ব? উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু! বাঁকখালী নদীর তীরে পুনঃদখল উচ্ছেদে প্রশাসনের ফের অভিযান টেকনাফে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ নাফ নদীতে ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রায়োন্ডা’ উন্মোচন ৩৯ জন নারী শিশু আটকে ছিলো পাহাড়ে! রাজা কংসনারায়ণের দূর্গা পূজা ও সমাজের ঐক্য ডিসেম্বরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেশে ফিরছেন সেফুদা! সু’মু’দ ফ্লো’টি’লা’য় পৌঁছে গেলো টিটিএনের সংবাদ, শহীদুল আলমের ফেসবুক পোস্ট..

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র: প্রধান উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দরকে সত্যিকার বন্দরে পরিণত করার কাজ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হলো চট্টগ্রাম বন্দর। এখান থেকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। বাংলাদেশের অর্থনীতি পাল্টাতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরই হলো মূল ভরসা। তাই পৃথিবীর সেরা বন্দর ব্যবস্থাপক যারা আছেন, তাদের আমি ডাকতে বলেছি।’

বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনকালে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড এই বন্দরের সাইজ পরিবর্তন না করে বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় করা যাবে না। বন্দরের চিকিৎসা দরকার। এর জন্য বিদেশিদের আনতে হবে। চিকিৎসা পেলেই এই হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হবে।

‘যথাযথ পরিকল্পনায় এগোতে পারলে ২০৩৬ সালে বাংলাদেশিরা দক্ষ জনশক্তি হয়ে বিদেশের বন্দর পরিচালনা করবে।’

অনুষ্ঠানে একটি মাল্টিমিডিয়া ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন।

এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাকে বহন করা ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। এরপর বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে বরণ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টরা।

সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেন এবং বন্দর পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখান থেকে যান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।

এরপর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে রওনা হবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম সমাবর্তন। এতে ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২ হাজার ৫৬০ শিক্ষার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা হবে। এই অনুষ্ঠানে ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি (২০১৫-২০২৫) প্রদান করা হবে। অধ্যাপক ইউনূস অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দারিদ্য বিমোচন ও বিশ্ব শান্তিতে অসামান্য অবদানের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একসময়ের নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিকালে তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে যাবেন।

সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎

This will close in 6 seconds

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরকে সত্যিকার বন্দরে পরিণত করার কাজ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হলো চট্টগ্রাম বন্দর। এখান থেকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। বাংলাদেশের অর্থনীতি পাল্টাতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরই হলো মূল ভরসা। তাই পৃথিবীর সেরা বন্দর ব্যবস্থাপক যারা আছেন, তাদের আমি ডাকতে বলেছি।’

বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনকালে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড এই বন্দরের সাইজ পরিবর্তন না করে বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় করা যাবে না। বন্দরের চিকিৎসা দরকার। এর জন্য বিদেশিদের আনতে হবে। চিকিৎসা পেলেই এই হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হবে।

‘যথাযথ পরিকল্পনায় এগোতে পারলে ২০৩৬ সালে বাংলাদেশিরা দক্ষ জনশক্তি হয়ে বিদেশের বন্দর পরিচালনা করবে।’

অনুষ্ঠানে একটি মাল্টিমিডিয়া ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন।

এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাকে বহন করা ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। এরপর বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে বরণ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টরা।

সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেন এবং বন্দর পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখান থেকে যান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।

এরপর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে রওনা হবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম সমাবর্তন। এতে ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২ হাজার ৫৬০ শিক্ষার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা হবে। এই অনুষ্ঠানে ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি (২০১৫-২০২৫) প্রদান করা হবে। অধ্যাপক ইউনূস অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দারিদ্য বিমোচন ও বিশ্ব শান্তিতে অসামান্য অবদানের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একসময়ের নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিকালে তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে যাবেন।

সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন