ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

চকরিয়ায় ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীকে হত্যা: পাঁচ সন্তান নিয়ে এখন কি করব-নিহতের স্ত্রী রেখা

 

 

 

স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেও বাঁচাতে পারেননি। চোঁখের সামনে স্বামী মোহাম্মদ মনির(৩৮)কে ঘাতকরা ছুরিকাঘাতে ও ইটের আঘাতে হত্যা করা হয় বলে দাবী স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস রেখার।

বৃহস্পতিবার ২৩ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে
চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বাজার পাড়ায় মাছ ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে ।এসময় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হয় স্ত্রীও।

নিহত মনিরের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস রেখা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন-স্বামী মনির ছিলো পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি।তাকে সন্ত্রাসীরা মাছ ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।এখন পাঁচ সন্তানদের নিয়ে কিভাবে চলবেন।সন্তানদের ভরণপোষণ কিভাবে বহন করবেন।
রেখা আরো বলেন-বাড়ির পাশ্ববর্তী মোহাম্মদ গণির ছেলে মো.আজাদ বাবু,মো.মারুফ সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের সাথে বাড়ির পাশে রাস্তায় বাকবিতন্ডা হয় ।একপর্যায়ে তার চোঁখের সামনে ছুরিকাঘাত ও ইটের আঘাতে মনিরকে হত্যা করে।

নিহত মোহাম্মদ মনির ওই এলাকার মৃত আবু সিদ্দিকের ছেলে।তিনি পাঁচ সন্তানের জনক ছিলেন। মনির মাছ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

নিহতের স্বজনরা বলেন-এলাকার আজাদ বাবুর সাথে যৌথ মাছ ব্যবসা করতেন মনির।
১ মাস পূর্বে মাছের লাভের টাকা নিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডা হয়।এই নিয়ে তাকে মাছের ব্যবসার শেয়ার থেকে বের করে দেয় ।এই ঘটনার রেশ ধরে মনিরের উপর হামলা চালায় তারা।

স্থানীয়রা জানায়-সন্ত্রাসীদের
ছুরিকাঘাতে মনির মাটিতে লুটিয়ে পড়লে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে চমেকে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।নিহতের শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

চকরিয়ায় ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীকে হত্যা: পাঁচ সন্তান নিয়ে এখন কি করব-নিহতের স্ত্রী রেখা

আপডেট সময় : ১১:০৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

 

 

 

স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেও বাঁচাতে পারেননি। চোঁখের সামনে স্বামী মোহাম্মদ মনির(৩৮)কে ঘাতকরা ছুরিকাঘাতে ও ইটের আঘাতে হত্যা করা হয় বলে দাবী স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস রেখার।

বৃহস্পতিবার ২৩ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে
চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বাজার পাড়ায় মাছ ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে ।এসময় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হয় স্ত্রীও।

নিহত মনিরের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস রেখা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন-স্বামী মনির ছিলো পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি।তাকে সন্ত্রাসীরা মাছ ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।এখন পাঁচ সন্তানদের নিয়ে কিভাবে চলবেন।সন্তানদের ভরণপোষণ কিভাবে বহন করবেন।
রেখা আরো বলেন-বাড়ির পাশ্ববর্তী মোহাম্মদ গণির ছেলে মো.আজাদ বাবু,মো.মারুফ সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের সাথে বাড়ির পাশে রাস্তায় বাকবিতন্ডা হয় ।একপর্যায়ে তার চোঁখের সামনে ছুরিকাঘাত ও ইটের আঘাতে মনিরকে হত্যা করে।

নিহত মোহাম্মদ মনির ওই এলাকার মৃত আবু সিদ্দিকের ছেলে।তিনি পাঁচ সন্তানের জনক ছিলেন। মনির মাছ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

নিহতের স্বজনরা বলেন-এলাকার আজাদ বাবুর সাথে যৌথ মাছ ব্যবসা করতেন মনির।
১ মাস পূর্বে মাছের লাভের টাকা নিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডা হয়।এই নিয়ে তাকে মাছের ব্যবসার শেয়ার থেকে বের করে দেয় ।এই ঘটনার রেশ ধরে মনিরের উপর হামলা চালায় তারা।

স্থানীয়রা জানায়-সন্ত্রাসীদের
ছুরিকাঘাতে মনির মাটিতে লুটিয়ে পড়লে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে চমেকে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।নিহতের শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।