ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মুলহোতা বাবু আটক: বাকীদের খুঁজছে পুলিশ চুপ প্রশাসন, নিষেধাজ্ঞা না মেনে আতশবাজি ফুটল সৈকতে বার্মিজ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা বকুল আর নেই: জানাজা বৃহস্পতিবার ভালো কিছু শুরুর আশা পঁচিশের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে আসা পর্যটকদের স্বামীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় উখিয়ায় ডাকাতির ছক, চিনে ফেলায় খুন

উখিয়ায় নুরুল আমিন নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার মূল আসামী আহমদ শরীফ ওরফে শরীফ ডাকাত এবং রেজাউল করিম ওরফে বাবুল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান।

গ্রেপ্তারকৃত শরীফ জালিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব নূরারডেইল এলাকার এবং বাবুল রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্নার বাসিন্দা। শরীফ এই মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি।

র‍্যাব জানায়, গত ২৩ জুন রাতে পূর্ব নূরারডেইল এলাকায় নুরুল আমিন ও তাঁর ভাই হাসান আলীর বাড়িতে মুখোশধারী ৭-৮ জনের একটি ডাকাত দল হানা দেয়। তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়।

এ সময় নুরুল আমিন ডাকাত দলের সদস্য আহমদ শরীফকে চিনে ফেলায় শরীফ তার বগলের নিচে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। স্বজনরা গুলিবিদ্ধ নুরুল আমিনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী র‍্যাবকে জানান, তার স্বামী প্রবাসে থাকাকালীন আহমদ শরীফ তাকে কুপ্রস্তাব দিত এবং নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফ এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

র‍্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ঘটনার জের ধরেই ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয় এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২৪ জুন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

এরপর র‍্যাব আসামিদের ধরতে অভিযান চালায়। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আহমদ শরীফের বাড়িতে অভিযান চালালে দুজন পালানোর চেষ্টা করে। র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ধাওয়া করে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতের স্ত্রীকে দেয়া কুপ্রস্তাবে সাড়া না পাওয়ায় তাকাতির পরিকল্পনা করে,আর ডাকাতদলকে চিনে ফেলায় শরীফ ক্ষুব্ধ হয়ে এ হত্যাকান্ড চালায়।

র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান জানান, ঘটনার পেছনের কারণ, অস্ত্র উদ্ধার এবং আসামিদের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় উখিয়ায় ডাকাতির ছক, চিনে ফেলায় খুন

আপডেট সময় : ০১:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

উখিয়ায় নুরুল আমিন নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার মূল আসামী আহমদ শরীফ ওরফে শরীফ ডাকাত এবং রেজাউল করিম ওরফে বাবুল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান।

গ্রেপ্তারকৃত শরীফ জালিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব নূরারডেইল এলাকার এবং বাবুল রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্নার বাসিন্দা। শরীফ এই মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি।

র‍্যাব জানায়, গত ২৩ জুন রাতে পূর্ব নূরারডেইল এলাকায় নুরুল আমিন ও তাঁর ভাই হাসান আলীর বাড়িতে মুখোশধারী ৭-৮ জনের একটি ডাকাত দল হানা দেয়। তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়।

এ সময় নুরুল আমিন ডাকাত দলের সদস্য আহমদ শরীফকে চিনে ফেলায় শরীফ তার বগলের নিচে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। স্বজনরা গুলিবিদ্ধ নুরুল আমিনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী র‍্যাবকে জানান, তার স্বামী প্রবাসে থাকাকালীন আহমদ শরীফ তাকে কুপ্রস্তাব দিত এবং নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফ এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

র‍্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ঘটনার জের ধরেই ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয় এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২৪ জুন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

এরপর র‍্যাব আসামিদের ধরতে অভিযান চালায়। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আহমদ শরীফের বাড়িতে অভিযান চালালে দুজন পালানোর চেষ্টা করে। র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ধাওয়া করে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতের স্ত্রীকে দেয়া কুপ্রস্তাবে সাড়া না পাওয়ায় তাকাতির পরিকল্পনা করে,আর ডাকাতদলকে চিনে ফেলায় শরীফ ক্ষুব্ধ হয়ে এ হত্যাকান্ড চালায়।

র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান জানান, ঘটনার পেছনের কারণ, অস্ত্র উদ্ধার এবং আসামিদের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।