অরক্ষিত সীমান্তে অবৈধ পথে পণ্য মাদক চোরাচালান নিত্যদিনের সঙ্গী, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কালাপুতুর ছেলে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন মৎসজীবী দলের সভাপতি শাহ আলমেরও রয়েছে একঝাঁক চোরাচালান সিন্ডিকেট। যার নেপথ্যে স্থানীয় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শাহ আলমের মিয়ানমারে রয়েছে বিশাল মাদকের সিন্ডিকেট, অবৈধপথে আসছে কাঁকড়া চিংড়ি ও ইয়াবা। বিনিময়ে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের যোগসাজশে এসব অপকর্ম করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সাহাব উদ্দিন সাইপ্পা ডাকাতের মেয়ে বিয়ে করে রাতারাতি মাদকের সম্রাজ্য করে গড়ে তুলেন শাহ আলম, মিয়ানমারের মংডু নাকপুড়া বলিবাজার থেকে অবৈধ পথে হোয়াইক্যং উলুবনিয়া বিপরীত তুলাতুলি, কোনাপাড়া, হোয়াইক্যং বাজার, লাম্বাবিল, উনছিপ্রাং পয়েন্ট থেকে চিংড়ি, কাঁকড়া ও মাদকের বিশাল চালান নিয়ে আসেন।
অভিযোগের বিষয়ে শাহ আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তাঁতীদলের সভাপতি মোঃ জোবাইর, যুবদলের সভাপতি আল মামুন বোরহানসহ স্থানীয় একাধিক নেতা তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন না করতে সুপারিশ করেন।
টেকনাফ রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল উদ্দিন বলেন, এটা নিতান্তই অপরাধ, তবে কাঁকড়া মাঝে মধ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি আটক করে কাস্টমস শুল্ক গুদামে জমা দেয়।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি জানান, চোরাকারবারিরা বিভিন্ন উপায়ে মাদক নিয়ে আসছে, তবে বিজিবির নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে, ইতিমধ্যে অনেকে বিজিবির হাতে আটকও হয়েছেন।