ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১( চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে পাঁচ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন৷ ২৯ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ এবং জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিলো।
মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী থেকে আব্দুল্লাহ আল ফারুক, গণঅধিকার পরিষদ থেকে আব্দুল কাদের,
ইসলামি আন্দোলন মোঃ ছরওয়ার আলম কুতুবী এবং
স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে সাইফুল ইসলাম।
পাঁচ জনের মধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর সবার আগে মনোনয়ন জমা দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এ আসনে মোট পাঁচ জন প্রার্থী থাকলেও আসল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুকের মধ্যে।
তথ্য সংগ্রহে জানা যায়, কক্সবাজার-১ আসন থেকে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক বিজয় লাভ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ২০০১সালের বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। এরপর ২০০৮ সালে নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি কারাগারে থাকলে প্রার্থী হন তাঁর স্ত্রী এডভোকেট হাসিনা আহমেদ। সে বার ও এই আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় বিএনপি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে আসনটি চলে যায় জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হাজ্বী মোহাম্মদ ইলিয়াসের হাতে। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন চকরিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জাফর আলম। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ছৈয়দ ইব্রাহিম এমপি নির্বাচিত হন এই আসনে৷ ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে মাত্র সাত মাসের মাথায় বিদায় নিতে হয় এই ইব্রাহিমকে।
মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের তারিখ ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তির সময় ১০ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারী।
রেজাউল করিম, পেকুয়া 





















