শিপ্ত বড়ুয়া, রামু:
কক্সবাজারের রামুতে অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্র ফাঁকা পড়ে আছে। প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় মোখা আসার পূর্ভাভাসে গতকাল সকাল থেকেই সচেতনতামূলক মাইকিং করা হলেও উপজেলার অধিকাংশ মানুষ এখনো যার যার ঘরেই অবস্থান করছেন। আজ সকাল ৯ টায় উপজেলার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় কোন লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি। উপজেলার পাহাড়ধ্বসের ঝুঁকিতে থাকা কাউয়ারখোপ ইউনিয়নেও একই অবস্থা। ঝুঁকি নিয়েই অধিকাংশ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা জানান, গতকাল থেকেই নানান মাধ্যমে সচেতন করে প্রচারণামূলক মাইকিং করা হয়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া অব্দি উপজেলার দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে হাজারের অধিক লোক আশ্রয় নিয়েছে তাও সেগুলো সাগরের কাছাকাছি বলে। পেঁচারদ্বীপ ও খুনিয়াপালং এর আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে।
আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, রামু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হলেও গতকাল থেকে একজনও আসেনি এখানে। এই স্কুলের অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন বলেন, গতকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে এই স্কুল খোলা আছে কিন্তু কেউ আসেনি এখনো পর্যন্ত। মানুষ সহযে ঘর ছেড়ে বাইরে যেতে চান না।
পূর্ব রাজারকুলের সাইক্লোন সেন্টারেও গিয়ে দেখা যায় কয়েকটি গরু ছাড়া কোন লোকজন আশ্রয় নিতে আসেননি। মানুষের মাঝে চাপা ভয় থাকলেও নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন না অধিকাংশ মানুষ। কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মনিরঝিলেও শতাধিকের বেশি পরিবার এখনো পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।
মনিরঝিলের বাসিন্দা ছৈয়দ নূর জানান, এর আগেও অনেক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এখানে থেকেই মোকাবেলা করেছি। আশা করি কোন ঝামেলা হবেনা।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভোর ৪ টা থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে রামুতে। বাঁকখালী নদীর পানি বেড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় রাজারকুল ইউনিয়নের জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার জরুরি সহায়তায় সেচ্ছাসেবকদের একটি টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। জরুরি সহায়তায় হটলাইন নাম্বারও চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, ইউনিয়নভিত্তিক জরুরি মেডিক্যাল সহায়তায় টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সকলে প্রস্তুত আছেন।