সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের পেকুয়াতেও সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ চেয়ে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে পেকুয়া উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সারাদেশে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন তার মধ্যে ৫০% শিক্ষার্থী অংশ নেন কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে। অথচ এবারের পরীক্ষায় তাদের অংশ গ্রহণ থেকে দুরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করে আসছে। তাহলে কেন এই বৈষম্য। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা কি তাদের অপরাধ ছিল। কার এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও কিন্ডারগার্টেন তথা বেসরকারি প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানগুলো বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসের সহযোগিতা কামনা করছেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন পেকুয়া শাখা।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুজিবুল হক চৌধুরী , পেকুয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোরাদুল কাদের মনির, কিংস্টন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন, শিলখালী আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ হামিদ হোছাইন, স্মার্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোছাইন ছিদ্দিকি, সোনালি বাজার সাজেদা বেগম বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইয়াছিন, এস.এম. আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনসার কামাল, এস.এস. পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাফফর আহমদ ও ক্রিয়েটিভ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।