ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
স্বামীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক
টিটিএনের সংবাদ প্রচার

অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়া শিশু তৌহিদের জন্য ২০’হাজার টাকা অর্থসহায়তা পাঠালো উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন

  • কাব্য সৌরভ
  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • 394

‘আমি বাঁচতে চাই, আমার সহপাঠীরা খেলা করলে আমারও খেলতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারিনা, আমার দুর্বল লাগে–আমি সবার মতো বাঁচতে চাই।’ এভাবেই টিটিএনের স্ক্রিনে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছিল মহেশখালী কালারমারছড়ার ফুলের ঝিরি নামক এলাকার থ্যালাসেমিয়া রোগী শিশু তৌহিদুল ইসলাম।

টানাপোড়েনের সংসারে তৌহিদের অসহায় পিতা তার চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না, ফলে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় ১০ বছর বয়সী দুরন্তপনা এই শিশুর চিকিৎসা। বিষয়টি টিটিএনের প্রচারিত সংবাদে দেখতে পেয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা প্রবাসীদের সংগঠন ‘উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন’ ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা পাঠায়।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে তৌহিদের পিতা মো. মোজাম্মেলের হাতে এই টাকা তুলে দেন উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন হয়ে তাহাবুল আলম সৌরভ। এ-সময় তৌহিদের পিতা মোজাম্মেল আবেগাপ্লুত হয়ে উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশনের সকলকে ধন্যবাদের সাথে কৃতজ্ঞতা জানান।

এই বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি সাহেদ মোহাম্মদ বাপ্পি ও প্রচার সম্পাদক মনির উদ্দিন জানান, টিটিএনের সংবাদটি দেখার পর তৌহিদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসা যেন বন্ধ না হয় তারজন্য পরবর্তীতে আরো সহযোগিতা পাঠাবেন তারা। তারা জানান, বিভিন্নদেশে অবস্থান করা প্রবাসীদের এই সংগঠন অসহায় দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আগামীতে আরো সুদৃঢ়ভাবে মানুষের সহযোগিতায় তারা বিস্তরভাবে হাত বাড়িয়ে দিবেন।

তৌহিদের বড়বোনও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ছিল। দরিদ্র পিতা তার সবটুকু সম্পদ বিক্রি করে কন্যার চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ধারদেনা আর মজুরির টাকায় এতদিন তৌহিদের চিকিৎসা আর নিয়মিত ব্লাড দিয়ে আসলেও টানাপোড়েনের সংসারে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তৌহিদের চিকিৎসা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

টিটিএনের সংবাদ প্রচার

অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়া শিশু তৌহিদের জন্য ২০’হাজার টাকা অর্থসহায়তা পাঠালো উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন

আপডেট সময় : ০৮:২৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

‘আমি বাঁচতে চাই, আমার সহপাঠীরা খেলা করলে আমারও খেলতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারিনা, আমার দুর্বল লাগে–আমি সবার মতো বাঁচতে চাই।’ এভাবেই টিটিএনের স্ক্রিনে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছিল মহেশখালী কালারমারছড়ার ফুলের ঝিরি নামক এলাকার থ্যালাসেমিয়া রোগী শিশু তৌহিদুল ইসলাম।

টানাপোড়েনের সংসারে তৌহিদের অসহায় পিতা তার চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না, ফলে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় ১০ বছর বয়সী দুরন্তপনা এই শিশুর চিকিৎসা। বিষয়টি টিটিএনের প্রচারিত সংবাদে দেখতে পেয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা প্রবাসীদের সংগঠন ‘উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন’ ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা পাঠায়।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে তৌহিদের পিতা মো. মোজাম্মেলের হাতে এই টাকা তুলে দেন উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন হয়ে তাহাবুল আলম সৌরভ। এ-সময় তৌহিদের পিতা মোজাম্মেল আবেগাপ্লুত হয়ে উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশনের সকলকে ধন্যবাদের সাথে কৃতজ্ঞতা জানান।

এই বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি সাহেদ মোহাম্মদ বাপ্পি ও প্রচার সম্পাদক মনির উদ্দিন জানান, টিটিএনের সংবাদটি দেখার পর তৌহিদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসা যেন বন্ধ না হয় তারজন্য পরবর্তীতে আরো সহযোগিতা পাঠাবেন তারা। তারা জানান, বিভিন্নদেশে অবস্থান করা প্রবাসীদের এই সংগঠন অসহায় দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আগামীতে আরো সুদৃঢ়ভাবে মানুষের সহযোগিতায় তারা বিস্তরভাবে হাত বাড়িয়ে দিবেন।

তৌহিদের বড়বোনও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ছিল। দরিদ্র পিতা তার সবটুকু সম্পদ বিক্রি করে কন্যার চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ধারদেনা আর মজুরির টাকায় এতদিন তৌহিদের চিকিৎসা আর নিয়মিত ব্লাড দিয়ে আসলেও টানাপোড়েনের সংসারে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তৌহিদের চিকিৎসা।