ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২৫ আগস্টের কারণে এখনো আছেন আরিফ? উখিয়ার সম্ভাব্য নতুন ওসি তৌহিদ জুমার নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব শিক্ষক পিটিয়ে ‘বির্তকিত’ উখিয়ার ওসি জুলাইয়ে জেলায় হয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবের মাঝে ফুটবল বিতরণ: কুতুবদিয়ায় ক্রীড়ার নতুন জাগরণ পেকুয়ায় যুবদলের পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল জামিনে মুক্ত হলেন গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল প্রত্যক্ষ ভোটে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাঈদুল ইসলাম আহবায়ক অভি, সদস্য সচিব জাহেদুল সুরা নিসায় আল্লাহর জিকিরের গুরুত্ব নিয়ে যা বলা হয়েছে রান্না’কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিবেন ভারতে পালিয়ে থাকা কক্সবাজারের সাবেক ‘আওয়ামী’ এমপি! পেকুয়ায় চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে উৎস কর পুনর্বিবেচনার দাবিতে কক্সবাজারস্থ উখিয়া সমিতির আলোচনা ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরু বাংলাদেশের মধ্যপ্রাচ্যে আটকে না থেকে ইউরোপ-জাপানে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোয় জোর

দৃশ্যমাধ্যম সমাজের উদ্যোগে ‘কইলজ্যা কাঁপানো ৩৬ দিন’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সাংস্কৃতিক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ‘দৃশ্যমাধ্যম সমাজ’। এবারের আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কইলজ্যা কাঁপানো ৩৬ দিন : জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও সাংস্কৃতিক নির্মাণ’। আগামী ২ আগস্ট রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হবে এ কর্মসূচি।

রোববার সকালে শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্মাতা আকরাম খান, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, জাহিন ফারুক আমিন ও অভিনেত্রী ফারিহা শামস সেওতি।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। যেখানে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ নতুন পথ দেখিয়েছিল গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের অভিযাত্রায়। সেই ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে আমরা আয়োজন করছি একটি সাংস্কৃতিক সম্মিলন।’

থিয়েটারকর্মী ও শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘সংসদ ভবনের সামনে কর্মসূচির আগের দিনই ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, কেউ আসবে কি না জানতাম না। কিন্তু দুই শতাধিক মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। হামলার মুখেও থেমে থাকেননি কেউ।’

আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে হয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ছিলাম। যে যেই ব্যানারেই দাঁড়াক না কেন, সবাই দাঁড়িয়েছিলাম, তখন অন্যায়, গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছিল; সেটা দেখে দেখে বাসায় বসে থাকার মতো অবস্থা কারোরই ছিল না। তবে এটা সত্যি, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছে। বর্তমানে আমাদের যে সার্বিক পরিস্থিতি, সেটাও আসলে খুব বেশি আশাব্যঞ্জক কিছু না। আশপাশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তা নিয়ে আমি হতাশ। তারপরও আমি আশাবাদী একজন মানুষ। আমি একটা ভিন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। সেই বাংলাদেশ হওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো—জুলাই অভ্যুত্থানের পটভূমি ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ, দৃশ্যমাধ্যম সমাজের ভূমিকা স্মরণ ও ভবিষ্যতের জন্য সাংস্কৃতিক সংগ্রামের রূপরেখা প্রস্তাব করা।

এই সম্মিলনে থাকবে শহীদি মিছিল, দেয়ালচিত্র নির্মাণ, আলোচনা সভা, থিয়েটার পারফরম্যান্স, গান, কবিতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পোস্টার ও মিম প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন আলোকচিত্রী তাসলিমা আখতার।

এছাড়া বক্তব্য দেন সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকলি ইসলাম, নির্মাতা তানিম নূর, তানহা জাফরীন, ধ্রুব হাসান, প্রযোজক মুশফিকুর রহমান, অভিনেত্রী আনান সিদ্দিকা, মডেল আসাদুজ্জামান আসাদসহ অনেকে।

সুত্র: সমকাল

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

২৫ আগস্টের কারণে এখনো আছেন আরিফ? উখিয়ার সম্ভাব্য নতুন ওসি তৌহিদ

This will close in 6 seconds

দৃশ্যমাধ্যম সমাজের উদ্যোগে ‘কইলজ্যা কাঁপানো ৩৬ দিন’

আপডেট সময় : ০৯:১২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সাংস্কৃতিক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ‘দৃশ্যমাধ্যম সমাজ’। এবারের আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কইলজ্যা কাঁপানো ৩৬ দিন : জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও সাংস্কৃতিক নির্মাণ’। আগামী ২ আগস্ট রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হবে এ কর্মসূচি।

রোববার সকালে শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্মাতা আকরাম খান, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, জাহিন ফারুক আমিন ও অভিনেত্রী ফারিহা শামস সেওতি।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। যেখানে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ নতুন পথ দেখিয়েছিল গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের অভিযাত্রায়। সেই ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে আমরা আয়োজন করছি একটি সাংস্কৃতিক সম্মিলন।’

থিয়েটারকর্মী ও শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘সংসদ ভবনের সামনে কর্মসূচির আগের দিনই ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, কেউ আসবে কি না জানতাম না। কিন্তু দুই শতাধিক মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। হামলার মুখেও থেমে থাকেননি কেউ।’

আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে হয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ছিলাম। যে যেই ব্যানারেই দাঁড়াক না কেন, সবাই দাঁড়িয়েছিলাম, তখন অন্যায়, গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছিল; সেটা দেখে দেখে বাসায় বসে থাকার মতো অবস্থা কারোরই ছিল না। তবে এটা সত্যি, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছে। বর্তমানে আমাদের যে সার্বিক পরিস্থিতি, সেটাও আসলে খুব বেশি আশাব্যঞ্জক কিছু না। আশপাশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তা নিয়ে আমি হতাশ। তারপরও আমি আশাবাদী একজন মানুষ। আমি একটা ভিন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। সেই বাংলাদেশ হওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো—জুলাই অভ্যুত্থানের পটভূমি ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ, দৃশ্যমাধ্যম সমাজের ভূমিকা স্মরণ ও ভবিষ্যতের জন্য সাংস্কৃতিক সংগ্রামের রূপরেখা প্রস্তাব করা।

এই সম্মিলনে থাকবে শহীদি মিছিল, দেয়ালচিত্র নির্মাণ, আলোচনা সভা, থিয়েটার পারফরম্যান্স, গান, কবিতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পোস্টার ও মিম প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন আলোকচিত্রী তাসলিমা আখতার।

এছাড়া বক্তব্য দেন সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকলি ইসলাম, নির্মাতা তানিম নূর, তানহা জাফরীন, ধ্রুব হাসান, প্রযোজক মুশফিকুর রহমান, অভিনেত্রী আনান সিদ্দিকা, মডেল আসাদুজ্জামান আসাদসহ অনেকে।

সুত্র: সমকাল