মহেশখালী প্রতিনিধি-
চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের হাজিয়ান পাড়ার জনৈক হারুনের বাড়িতে মহেশখালীর মিফতাহ মণি (১১) নামের এক কিশোরী গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা ছৈয়দ নূর বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) চকরিয়া থানায় অভিযুক্ত কামাল হারুন (৪০) পিতা, মো.ইসহাক- কে প্রধান আসামি ও তার স্ত্রী সোমা আক্তার (৩২) এর নাম উল্লেখ করে এবং দুইজনের নাম অজ্ঞাত রেখে, হত্যা মামলা দায়ের করা হয় বলে জানায় চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
এর আগে গত ১০ মে মিফতাহ মণি নামের ওই গৃহকর্মী চকরিয়া কাকারার হাজিয়ান পাড়ার জনৈক হারুনের বাড়িতে হত্যার শিকার হয়। পরে তার মরদেহ রাখা হয় ফ্রিজে। কিশোরীর পরিবারকে জানানো হয় ডায়রিয়ার কারণে ওই গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষয়টি ওই গৃহকর্মীর পরিবারে জানাজানি হলে, মহেশখালীতে তার মরদেহ এনে এম্বুল্যান্সে রেখে বাড়ির মালিক হারুন ও তার স্ত্রী সোমা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মিফতাহ’র পরিবার। এসময় তারা ওই কিশোরীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং মৃত্যুর পরবর্তী তার মরদেহ ফ্রিজে রাখার অভিযোগ করেন।
নিহত ওই কিশোরীর বাড়ি মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গায়। দেড় বছর আগে হারুনের স্ত্রী সোমার পিতা মহেশখালীর গোরকঘাটার সিকদার পাড়ার বাসিন্দা রশিদ বহদ্দারের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে গৃহকর্মীর কাজে নিয়ে যায় হারুন ও তার স্ত্রী সোমা।