ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন চায় শিবির টেকনাফে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে আটক-১ সাংবাদিক হাফিজের বাবার জানাজা সোমবার সকাল ১০ টায় সাংবাদিক হাফিজের বাবার ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক “গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি” আসছে “মন্থা”, কক্সবাজারে বৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে: আঘাত হানবে মঙ্গল বা বুধবার প্রথম দিনই ধরা পড়ল আড়াই কেজির ইলিশ, ৯২০০ টাকায় বিক্রি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কোথায়, কখন আঘাত হানতে পারে সবুজ ঘাসে ঢাকা চট্টগ্রামের উইকেট, কেমন হবে রান পাবনায় ট্রাকচাপায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সক্রিয় শালা-দুলাভাইয়ের ‘ইয়াবা’ নেটওয়ার্ক

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের পুরাতন রাজধানী রেঙ্গুনে (বর্তমানে ইয়াঙ্গুন নামে পরিচিত) বাস করেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ আবছার।

সেই মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পর্যন্ত প্রযুক্তির সহায়তায় অবৈধ মাদক ইয়াবার রমরমা বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার তথ্য মিলেছে দুর্ধর্ষ এই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে।

ওপার থেকে সক্রিয় নেটওয়ার্কটির এপার নিয়ন্ত্রণ করেন আবছারের আপন বোন জামাই মোহাম্মদ ওসমান, যার অধীনে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ জন মাদক কারবারিদের একটি চক্র।

ওসমান পালংখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড’স্থ ধামনখালী এলাকার মৃত অলি আহমেদের পুত্র।

পুলিশের তথ্যানুযায়ী, ওসমান মাদক প্রতিরোধ আইনে দায়েরকৃত একাধিক মামলা’র আসামী।

২০২১ সালে থাইংখালী’র ফুটবল মাঠ এলাকা থেকে দশ হাজার ইয়াবা সহ ওসমান’কে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়াও ২০২৩ সালে বালুখালী এলাকায় ৫০ হাজার ইয়াবা সহ দুই নারী’কে বিজিবি গ্রেফতার করলে সে ঘটনাতেও ওসমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

সাম্প্রতিক সময়ে মাদক পাচারের রুট হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া সীমান্তবর্তী গ্রাম ধামনখালীতে ইয়াবা লেনদেনের সংবাদ প্রচার পায় গণমাধ্যমে, এরপরই প্রকাশ্যে আসে শালা-দুলাভাইয়ের কীর্তিকলাপ।

প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত একটি ভিডিওর তথ্য বলছে, আবছারের সাথে নিয়মিতই ইয়াবা লেনদেন করে থাকেন ওসমান।

ওসমানের মধ্যস্থতায় তার অধীনস্থ মাদকবহনকারীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা মজুদের পর ছড়িয়ে দেয় দেশের অন্যান্য স্থানে।

আশ্রয় শিবিরের ১নং ক্যাম্পে বাস করেন আবছারের পিতা ফজল আহমেদ সহ তার পরিবার৷ ঐ ক্যাম্পের একটি সূত্র ব্যবহার করে আবছারের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো উত্তর মেলেনি।

তবে কথা বলেছেন ওসমান। তিনি প্রতিবেদক’কে দাবী করেন, ‘আমি কখনোই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিলাম না, আমার বিরুদ্ধে এলাকায় কিছু শত্রু অপপ্রচারে সক্রিয়। তারা আমার মানহানির উদ্দেশ্যে এধরণের তথ্য দিয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করছে।’

মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্য রুখতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র কঠোর তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ৬৪ বিজিবির ( উখিয়া ব্যাটেলিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সক্রিয় শালা-দুলাভাইয়ের ‘ইয়াবা’ নেটওয়ার্ক

আপডেট সময় : ০২:০০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের পুরাতন রাজধানী রেঙ্গুনে (বর্তমানে ইয়াঙ্গুন নামে পরিচিত) বাস করেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ আবছার।

সেই মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পর্যন্ত প্রযুক্তির সহায়তায় অবৈধ মাদক ইয়াবার রমরমা বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার তথ্য মিলেছে দুর্ধর্ষ এই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে।

ওপার থেকে সক্রিয় নেটওয়ার্কটির এপার নিয়ন্ত্রণ করেন আবছারের আপন বোন জামাই মোহাম্মদ ওসমান, যার অধীনে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ জন মাদক কারবারিদের একটি চক্র।

ওসমান পালংখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড’স্থ ধামনখালী এলাকার মৃত অলি আহমেদের পুত্র।

পুলিশের তথ্যানুযায়ী, ওসমান মাদক প্রতিরোধ আইনে দায়েরকৃত একাধিক মামলা’র আসামী।

২০২১ সালে থাইংখালী’র ফুটবল মাঠ এলাকা থেকে দশ হাজার ইয়াবা সহ ওসমান’কে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়াও ২০২৩ সালে বালুখালী এলাকায় ৫০ হাজার ইয়াবা সহ দুই নারী’কে বিজিবি গ্রেফতার করলে সে ঘটনাতেও ওসমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

সাম্প্রতিক সময়ে মাদক পাচারের রুট হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া সীমান্তবর্তী গ্রাম ধামনখালীতে ইয়াবা লেনদেনের সংবাদ প্রচার পায় গণমাধ্যমে, এরপরই প্রকাশ্যে আসে শালা-দুলাভাইয়ের কীর্তিকলাপ।

প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত একটি ভিডিওর তথ্য বলছে, আবছারের সাথে নিয়মিতই ইয়াবা লেনদেন করে থাকেন ওসমান।

ওসমানের মধ্যস্থতায় তার অধীনস্থ মাদকবহনকারীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা মজুদের পর ছড়িয়ে দেয় দেশের অন্যান্য স্থানে।

আশ্রয় শিবিরের ১নং ক্যাম্পে বাস করেন আবছারের পিতা ফজল আহমেদ সহ তার পরিবার৷ ঐ ক্যাম্পের একটি সূত্র ব্যবহার করে আবছারের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো উত্তর মেলেনি।

তবে কথা বলেছেন ওসমান। তিনি প্রতিবেদক’কে দাবী করেন, ‘আমি কখনোই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিলাম না, আমার বিরুদ্ধে এলাকায় কিছু শত্রু অপপ্রচারে সক্রিয়। তারা আমার মানহানির উদ্দেশ্যে এধরণের তথ্য দিয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করছে।’

মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্য রুখতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র কঠোর তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ৬৪ বিজিবির ( উখিয়া ব্যাটেলিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।