রাহুল মহাজন:
কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহাশশ্মানে শেষকৃত্য অনুষ্টানে কক্সবাজারের সামাজিক রাজনৈতিক বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সমাবেত হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনে। কারো কাছে তিনি ছিলেন শিক্ষক, কারো কাছে নেতা,কারো কাছে অভিভাবক,কারো কাছে সহকর্মী।সকলেই শোকাহত কক্সবাজারের অভিভাবক এডভোকেট পীযূষ কান্তি চৌধুরীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে।
এসময় কক্সবাজার সদর-রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, কক্সবাজার একজন অভিভাবক কে হারালো,এ ক্ষতি পুরন হবার নয়। সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, পীযুষ চৌধুরী ছিলেন দক্ষ আইনজীবী এবং এই মেধাবী মানুষটির মৃত্যু যে শুন্যতা তৈরী করলো তা পুরন হবার নয়। প্রবীণ শিক্ষাবিদ সোমেশ্বর চক্রবর্তী বলেন,পীযুষ কান্তি চৌধুরী ছিলেন সমাজের জন্যে নিবেদিত প্রান ব্যক্তি তাকে হারিয়ে সত্যিই কক্সবাজার আজ শোকাহত।
এসময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কক্সবাজার জেলার সভাপতি কমরেড দীলিপ দাশ, এড নাসির উদ্দীন, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব তাপস রক্ষিত, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জল কর,সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ উপজেলা আওয়মাীলীগের সভাপতি মাহামুদুল করিম মাদুসহ অনেকেই।
কক্সবাজার জেলার প্রবীণ আইনজীবী,স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ জ্ঞানেন্দ্র লাল চৌধুরীর সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট পীযুষ কান্তি চৌধুরী
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের সড়কস্থ কোবা টাওয়ারের নীজ ফ্ল্যাটে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করে। তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
পীযুষ কান্তি চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন,কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত খ্যাতিমান আইনজীবী, জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি, ন্যাশনাল আওয়ামী লীগে (ন্যাপ -মোজাফফর) জেলা শাখার সভাপতি,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সকাল ১১ টার কিছু পর কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে এই মহার্ঘ্যের শেষকৃত্য শেষ হয়।