বিশেষ প্রতিবেদক :
ইলেকশন কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি, তা কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে দেখিয়ে দেয়া হবে। থাকবে না পেশীশক্তি ও কালো টাকার প্রভাব ।
শনিবার সকালে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে অনেকটা হুশিয়ার কণ্ঠে নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান এসব কথা বলেন।
এসময় হুশিয়ার করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোন এজেন্ট বা সমর্থক ভোটারদের ভোট প্রদানে প্রভাবিত করলে সাথে সাথেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় হবে। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও র্যাব পুলিশের সাথে থাকবে বিজিবি।
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কক্সবাজারবাসীকে উপহার দেওয়া হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার।
সভায় নৌকার মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান মাবু অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাশেদুল হক রাশেদের ভাই শাহীনুল হক মার্শাল নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে প্রকাশ্যে জেলা পরিষদের চেক বিতরণ করছেন। যা আচরন বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এর প্রেক্ষিতে লিখিত অভিযোগ ও ভিডিও ফুটেজ জমা দেয়ার কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার এবং যা ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মাশেদুল হক রাশেদ এবং তার স্ত্রী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জোৎস্না আরা হক সিসিটিভি ক্যামেরার দাবী জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. জাহেদুর রহমান বলেন, আইন যেনো সবার জন্যই সমান হয়। দুর্বলের জন্য এক রকম আর সবলের জন্য অন্যরকম হলে হবেনা।
আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জগদীশ বড়ুয়া এসময় বলেন, দেয়ালে পোস্টার সাটানো হলে তিনি নির্বাচন বর্জন করবেন।
এতে ৫ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী, ১১ কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিভিন্ন অভিযোগের কথা জানান নির্বাচন কমিশনারকে।
সভা শেষে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে হাতে হাত রেখে কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের ৫ মেয়র প্রার্থীর নিকট থেকে ওয়াদা নেন নির্বাচন কমিশনার।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শিমুল শর্মা।