আগামী ২৮ ডিসেম্বর শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন ডেকেছে এবি পার্টি। এছাড়া ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচনের তারিখ, কাউন্সিল ও ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ পর্ষদের নির্বাচনি তফসিলও ঘোষণা করেছে দলটি।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ও আভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দলের উপদেষ্টা এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— এবি পার্টির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, এবি পার্টির অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা ও অন্যতম নির্বাচন কমিশনার সাবেক জেলা জজ আকতারুল আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, চার বছর আগে আমরা করোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতিতে এই অফিস থেকেই ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’র যাত্রা শুরু করেছিলাম। করোনার পর আমরা কয়েকবারই চেষ্টা করেছিলাম কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কিন্তু ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতন, নিপীড়ন, স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণসহ নানা কারণে আমাদের কাউন্সিল করা সম্ভব হয়নি। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ২৮ ডিসেম্বর শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মেজর মিনার বলেন, এবি পার্টি জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আজ আমাদের প্রথম জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে দেশবাসীকে তিনি শুভেচ্ছা জানান এবং পার্টির কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সকলের সহোযোগিতা কামনা করেন।
এবি পার্টির অন্যতম উপদেষ্টা এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে আমরা দেশের প্রয়োজনে কাউন্সিল করার সুযোগ পাইনি। স্বৈরাচার পতনের পর এখন একটু সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে পার্টির যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবো, ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে ব্যারিস্টার যোবায়ের বলেন, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা ৭ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই ১৩ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৮ ডিসেম্বর, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ১৯ ডিসেম্বর, ভোট গ্হণ ২৪-২৫ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ও ফলাফল ২৮ ডিসেম্বর।
ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করে তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমা ৫-১০ ডিসেম্বর, যাচাই বাছাই ১১-১২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৩ ডিসেম্বর, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ১৪ ডিসেম্বর, ভোটগ্রহণ ১৯-২০ ডিসেম্বর, ফলাফল ঘোষণা ২১ ডিসেম্বর।
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করে তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমা ২২ ডিসেম্বর, প্রত্যাহার ২৪ ডিসেম্বর, ভোট গ্রহণ ২৬ ডিসেম্বর, ফলাফল ২৮ ডিসেম্বর।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, গাজীপুরের সদস্য সচিব আমজাদ খান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমেদ বারকাজ নাসির, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টির প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফেরদৌসী আক্তার অপিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।