অসুস্থ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার রাতে জামায়াত আমিরকে দেখতে যান বিএনপির মহাসচিব ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
এসম বিএনপি নেতারা জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন।
ডা. শফিকুর রহমান রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ মঞ্চে পড়ে যান। গরমে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে সমাবেশ শেষে তাকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগ থেকে জানানো হয়, দলের আমিরের প্রেশার ও সুগার লেভেল ঠিক আছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ডা. শফিকুর রহমানের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছে দলটি।
শনিবার সকালে সাত দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সাইফুল্লাহ মানসুর। সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করে।
দুপুর ২টায় কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। উদ্যানে প্রবেশের সময় রাস্তার দুইপাশে নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে স্লোগান দেন। আপ্লুত আমির হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তাকে হাসিমুখে দেখা গেছে।
বিকাল সোয়া ৫টার দিকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মাইক্রোফোনের সামনে যান। বক্তৃতা শুরু করার কিছুক্ষণ পর গরমের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি মঞ্চে লুটে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা তাকে তুলে দাঁড় করান। আবার বক্তব্য দিতে শুরু করেন তিনি।
তিনি দ্বিতীয়বার অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান। জামায়াত আমির অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন। তৎপর হয়ে উঠেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
অসুস্থ অবস্থায় মঞ্চে বসেই মাইক হাতে নিজের সমাপনী বক্তব্য দেন শফিকুর রহমান।