ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন : প্রধান উপদেষ্টা তারেক জিয়া দেশে ফিরছেন ২৮ জুলাই! কচ্ছপিয়ায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ইয়াবা বিক্রি: ইয়াবা’সহ ধৃত ভুট্টো সালাহউদ্দিন আহমদের জন্মদিনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের নানা আয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজ একাউন্টিং ক্লাবের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছা আগামী ২০ জুলাই থেকে শহীদ দৌলত ময়দানে হবে বৃক্ষ মেলা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নুরুল আবছারের পরিবারকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের ১ লক্ষ টাকা অনুদান গর্জনিয়ার বড়বিল থেকে পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার : পৃথক ঘটনায় দুজন আটক উখিয়ার গফুর চেয়ারম্যানের দুই দিনের ‘রিমান্ড’ মঞ্জুর র‍্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা অপহরণ! দশজন ‘মূর্তি’ নিয়ে মেসি একা কী করবেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের অধিকতর কার্যকর ভূমিকা চেয়েছে বিএনপি সংস্কার প্রশ্নে দলগুলোর ঐকমত্য নিয়ে সংশয়

মে মাসে এলো ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স

ঈদের আগের মাস মে-তে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি। আর একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে গত ঈদের আগের মাস মার্চে। মূলত অর্থপাচার কমে যাওয়ায় হুন্ডি ব্যাপকভাবে কমেছে। যে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় ব্যাপক বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৭৫১ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ১৩৭ কোটি ডলার। এর মানে ১১ মাসে বেশি এসেছে ৬১৩ কোটি ডলার বা ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ। রেমিট্যান্সের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার দর বাজারভিত্তিক করার পরও ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে ডলার। আগের মতো ডলার নিয়ে হাহাকার নেই ব্যবসায়ীদের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অর্থপাচারে ঠেকাতে কড়াকড়ি করছে সরকার। আগের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থপাচারে শীর্ষ সন্দেহভাজন শেখ হাসিনা পরিবার ও ১১ ব্যবসায়ী গ্রুপের বিষয়ে ১১টি যৌথ তদন্ত চলমান আছে। এরই মধ্যে এসব ব্যক্তিদের ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর দেশে লকডাউনের মধ্যে রেমিট্যান্সে এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২০২০–২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার যা ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে যা কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে। আগে যেখানে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমছিল, এখন বাড়ছে। টানা ২০ মাস পর গত এপ্রিল শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অবশ্য আকু পরিশোধের পর তা কমে যায়। বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। আওয়ামী লীগের পতনের সময় রিজার্ভ ছিল যেখানে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।

সুত্র : সমকাল

ট্যাগ :

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ

This will close in 6 seconds

মে মাসে এলো ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স

আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

ঈদের আগের মাস মে-তে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি। আর একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে গত ঈদের আগের মাস মার্চে। মূলত অর্থপাচার কমে যাওয়ায় হুন্ডি ব্যাপকভাবে কমেছে। যে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় ব্যাপক বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৭৫১ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ১৩৭ কোটি ডলার। এর মানে ১১ মাসে বেশি এসেছে ৬১৩ কোটি ডলার বা ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ। রেমিট্যান্সের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার দর বাজারভিত্তিক করার পরও ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে ডলার। আগের মতো ডলার নিয়ে হাহাকার নেই ব্যবসায়ীদের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অর্থপাচারে ঠেকাতে কড়াকড়ি করছে সরকার। আগের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থপাচারে শীর্ষ সন্দেহভাজন শেখ হাসিনা পরিবার ও ১১ ব্যবসায়ী গ্রুপের বিষয়ে ১১টি যৌথ তদন্ত চলমান আছে। এরই মধ্যে এসব ব্যক্তিদের ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর দেশে লকডাউনের মধ্যে রেমিট্যান্সে এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২০২০–২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার যা ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে যা কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে। আগে যেখানে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমছিল, এখন বাড়ছে। টানা ২০ মাস পর গত এপ্রিল শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অবশ্য আকু পরিশোধের পর তা কমে যায়। বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। আওয়ামী লীগের পতনের সময় রিজার্ভ ছিল যেখানে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।

সুত্র : সমকাল