ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পেটের মধ্যে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা, ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করল সেনাবাহিনী  সার্বক্ষণিক ইবাদত আল্লাহর জিকির পালংখালী সীমান্তে বেপরোয়া তিন যুবক! – ৮০ হাজার ইয়াবা সহ সহযোগী গ্রেফতার কাঁকড়া-চিংড়ি’র সাথে আসছে মাদক! শাহ আলমের দেখভালে রাজনৈতিক নেতারা ডিজিটাল সেবায় কক্সবাজার পুলিশের মাইলফলক: অনলাইনে ১০ হাজার বাস অনুমোদন থানা হেফাজতে যুবকের মৃত্যু: তিন পুলিশ প্রত্যাহার; স্থানীয়দের বিক্ষোভ কক্সবাজার সরকারি কলেজের সামনে মহাসড়ক থেকে ময়লা অপসারণে প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চকরিয়ায় থানা হেফাজতে যুবকের ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন পরিবারের চকরিয়া থানা হেফাজতে চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটরের আত্মহত্যা ২৫ আগস্টের কারণে এখনো আছেন আরিফ? উখিয়ার সম্ভাব্য নতুন ওসি তৌহিদ জুমার নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব শিক্ষক পিটিয়ে ‘বির্তকিত’ উখিয়ার ওসি জুলাইয়ে জেলায় হয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবের মাঝে ফুটবল বিতরণ: কুতুবদিয়ায় ক্রীড়ার নতুন জাগরণ পেকুয়ায় যুবদলের পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল

বাংলাদেশে ব্যক্তিপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত কী?

বাংলাদেশে কেউই লাইসেন্স ছাড়া কোনো আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে বা বহন করতে পারেন না। এটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। ছোট বড় যেকোনও ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে হলে তার জন্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়, অর্থাৎ অস্ত্র কেনার জন্য আগে লাইসেন্স করতে হয়।

এ সংক্রান্ত নিয়মগুলো কয়েকটি আইনের আওতায় পরিচালিত হয়।

এর মধ্যে মূলত ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট এবং ১৯২৪ সালের আর্মস রুলস আইনের আওতায় যে কোন সামরিক বা বেসামরিক নাগরিককে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়।

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে যেসব মানদণ্ড পূরণ করতে হয়

» বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে

» আবেদনকারীর জীবনের বাস্তব ঝুঁকি থাকলে, অর্থাৎ কেবলমাত্র আত্মরক্ষার ব্যাপার থাকলে তিনি আবেদন করতে পারবেন

» ‘শর্ট ব্যারেল’ আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ৩০ বছর, ‘লং ব্যারেল’ আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হবে, এবং এবং ৭০ বছরের নিচে হবে বয়স

» আবেদনকারীকে অবশ্যই আয়কর দাতা হতে হবে, বছরে ন্যূনতম দুই লক্ষ টাকা আয়কর প্রদান করতে হবে

» অনুমতি পেলে আবেদনকারী অস্ত্র আমদানি করে আনতে পারেন, অথবা দেশীয় বৈধ কোন ডিলারের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবে। কোনও ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন

কীভাবে আবেদন করতে হয়

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য একজন নাগরিককে তার স্থায়ী ঠিকানা যে জেলায়, সেখানকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লাইসেন্স ও আগ্নেয়াস্ত্র বিভাগ থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে।

এক্ষেত্রে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বা এসবি শাখা তদন্ত করে আবেদনকারীর তথ্য মিলিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট দেয়।

এরপর জেলা প্রশাসক বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনের পর সেটি পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনাপত্তি পত্র দিলে জেলা প্রশাসক ওই আবেদনকারীর বরাবরে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করেন।

এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে বৈধ নাগরিকত্বের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ট্যাক্স সার্টিফিকেটের ফটোকপি, ছয় কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এবং লাইসেন্স ফি জমা দিতে হবে।

অস্ত্র ব্যবহারের নিয়ম

আগ্নেয়াস্ত্র বিষয়ে সর্বশেষ আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ আইনে কেবলমাত্র আত্মরক্ষার স্বার্থে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তবে, এই আইনে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান সাধারণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক কখন টেস্ট ফায়ার বা পরীক্ষামূলকভাবে ফাঁকা গুলি চালাতে পারবেন, সে সংক্রান্ত কিছু নিয়ম আছে।

নতুন কেনা অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক টেস্ট ফায়ার করতে পারবেন।

সূত্র- বিবিসি বাংলা

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

পেটের মধ্যে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা, ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করল সেনাবাহিনী 

This will close in 6 seconds

বাংলাদেশে ব্যক্তিপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত কী?

আপডেট সময় : ০২:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

বাংলাদেশে কেউই লাইসেন্স ছাড়া কোনো আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে বা বহন করতে পারেন না। এটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। ছোট বড় যেকোনও ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে হলে তার জন্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়, অর্থাৎ অস্ত্র কেনার জন্য আগে লাইসেন্স করতে হয়।

এ সংক্রান্ত নিয়মগুলো কয়েকটি আইনের আওতায় পরিচালিত হয়।

এর মধ্যে মূলত ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট এবং ১৯২৪ সালের আর্মস রুলস আইনের আওতায় যে কোন সামরিক বা বেসামরিক নাগরিককে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়।

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে যেসব মানদণ্ড পূরণ করতে হয়

» বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে

» আবেদনকারীর জীবনের বাস্তব ঝুঁকি থাকলে, অর্থাৎ কেবলমাত্র আত্মরক্ষার ব্যাপার থাকলে তিনি আবেদন করতে পারবেন

» ‘শর্ট ব্যারেল’ আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ৩০ বছর, ‘লং ব্যারেল’ আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হবে, এবং এবং ৭০ বছরের নিচে হবে বয়স

» আবেদনকারীকে অবশ্যই আয়কর দাতা হতে হবে, বছরে ন্যূনতম দুই লক্ষ টাকা আয়কর প্রদান করতে হবে

» অনুমতি পেলে আবেদনকারী অস্ত্র আমদানি করে আনতে পারেন, অথবা দেশীয় বৈধ কোন ডিলারের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবে। কোনও ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন

কীভাবে আবেদন করতে হয়

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য একজন নাগরিককে তার স্থায়ী ঠিকানা যে জেলায়, সেখানকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লাইসেন্স ও আগ্নেয়াস্ত্র বিভাগ থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে।

এক্ষেত্রে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বা এসবি শাখা তদন্ত করে আবেদনকারীর তথ্য মিলিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট দেয়।

এরপর জেলা প্রশাসক বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনের পর সেটি পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনাপত্তি পত্র দিলে জেলা প্রশাসক ওই আবেদনকারীর বরাবরে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করেন।

এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে বৈধ নাগরিকত্বের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ট্যাক্স সার্টিফিকেটের ফটোকপি, ছয় কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এবং লাইসেন্স ফি জমা দিতে হবে।

অস্ত্র ব্যবহারের নিয়ম

আগ্নেয়াস্ত্র বিষয়ে সর্বশেষ আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ আইনে কেবলমাত্র আত্মরক্ষার স্বার্থে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তবে, এই আইনে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান সাধারণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক কখন টেস্ট ফায়ার বা পরীক্ষামূলকভাবে ফাঁকা গুলি চালাতে পারবেন, সে সংক্রান্ত কিছু নিয়ম আছে।

নতুন কেনা অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক টেস্ট ফায়ার করতে পারবেন।

সূত্র- বিবিসি বাংলা