ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে এক জেলের জালে উঠে এল ১১০টি ইলিশ

  • Md Milon Miah
  • আপডেট সময় : ০৭:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩৬ টাইম ভিউ

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে এক জেলের জালে একসঙ্গে ধরা পড়েছে ১১০টি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ১ কেজি ২০০ গ্রাম করে। আজ রোববার সকালে মাছগুলো নিয়ে টেকনাফ সদরের মেরিন ড্রাইভ সড়কসংলগ্ন দক্ষিণ লম্বরী নৌঘাটে ফিরে আসে ওই জেলের নৌকা।

যে জেলের জালে এসব মাছ ধরা পড়েছে তাঁর নাম মো. ইয়াকুব। তাঁর বাড়ি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী গ্রামে। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে পাঁচজন মাঝিমাল্লা, শ্রমিকসহ নিজের ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যান ইয়াকুব।

নৌকার মাঝি আমির আহমদ বলেন, সাগরের ১৯ বাইন নামক এলাকায় দুপুরে তাঁরা জাল ফেলেন। মধ্যরাতে জাল টানতেই দেখতে পান ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। পরে গুনে দেখেন ১১০টি ইলিশ। সবগুলোই আকারে বড়। মাছ নিয়ে সকালে তাঁরা ঘাটে ফিরে আসেন

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ বলেন, ছোট নৌকায় করে যাঁরা জাল ফেলেন তাঁদের জালে সাধারণত একসঙ্গে এত ইলিশ ধরা পড়ে না। ১০ থেকে ১৫টি করে ইলিশ মাছ ধরা পড়লেও ছোট নৌকায় একসঙ্গে বড় আকারের এত মাছ চলতি মৌসুমে আর পাওয়া যায়নি। জেলে মো. ইয়াকুবের জালে যে মাছগুলো ধরা পড়েছে, স্থানীয় বাজারে এ ধরনের মাছ কেজিপ্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে বিক্রি হয়।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর স্থানীয় জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার কারণে সাগরে মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন।

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে এক জেলের জালে উঠে এল ১১০টি ইলিশ

আপডেট সময় : ০৭:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে এক জেলের জালে একসঙ্গে ধরা পড়েছে ১১০টি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ১ কেজি ২০০ গ্রাম করে। আজ রোববার সকালে মাছগুলো নিয়ে টেকনাফ সদরের মেরিন ড্রাইভ সড়কসংলগ্ন দক্ষিণ লম্বরী নৌঘাটে ফিরে আসে ওই জেলের নৌকা।

যে জেলের জালে এসব মাছ ধরা পড়েছে তাঁর নাম মো. ইয়াকুব। তাঁর বাড়ি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী গ্রামে। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে পাঁচজন মাঝিমাল্লা, শ্রমিকসহ নিজের ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যান ইয়াকুব।

নৌকার মাঝি আমির আহমদ বলেন, সাগরের ১৯ বাইন নামক এলাকায় দুপুরে তাঁরা জাল ফেলেন। মধ্যরাতে জাল টানতেই দেখতে পান ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। পরে গুনে দেখেন ১১০টি ইলিশ। সবগুলোই আকারে বড়। মাছ নিয়ে সকালে তাঁরা ঘাটে ফিরে আসেন

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ বলেন, ছোট নৌকায় করে যাঁরা জাল ফেলেন তাঁদের জালে সাধারণত একসঙ্গে এত ইলিশ ধরা পড়ে না। ১০ থেকে ১৫টি করে ইলিশ মাছ ধরা পড়লেও ছোট নৌকায় একসঙ্গে বড় আকারের এত মাছ চলতি মৌসুমে আর পাওয়া যায়নি। জেলে মো. ইয়াকুবের জালে যে মাছগুলো ধরা পড়েছে, স্থানীয় বাজারে এ ধরনের মাছ কেজিপ্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে বিক্রি হয়।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর স্থানীয় জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার কারণে সাগরে মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন।