কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে।
ন্যক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের সন্ধিপি পাড়া এলাকায়।
আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের সন্ধিপি পাড়ার আবদুল মিয়ার পুত্র আজহার উদ্দিন প্রকাশ আজাখানের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক বলে স্থানীয়রা জানালেও তা উক্ত ওয়ার্ড জামায়াতের নেতারা সঠিক নয় বলে দাবী করেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে প্রাইভেট পড়তে গেলে শিশুটিকে টাকা দেওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে অন্ধকারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরে শিশুটি চিৎকার করলে ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং পরিবারের পক্ষ থেকে কুতুবদিয়া থানায় লিখিত এজাহার দেয়া হয়।
খবর পেয়ে কুতুবদিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ শিশুটির পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করে।
আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আক্তার হোছন জানান, মেয়ের মা ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি জানানোর পর আজহার উদ্দিনের সাথে কথা বললে সে বিষয়টি অস্বীকার করে। তাৎক্ষণিক শত শত উত্তেজিত জনতা তাকে খুঁজতে থাকে। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পরিস্থিতি শান্ত করে। এবিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
এদিকে আজহার উদ্দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছে কিনা তা জানার জন্য আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আবদুর রহিম জানান, আজহার উদ্দিন ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নয়। তিনি জামায়াতের কোন দায়িত্বশীল পদে নাই। জামায়াতের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জামায়াতের কর্মী হিসেবে তিনি প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারেন।
জামায়াতে ইসলামীর আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের সভাপতি সাদেক হোসেন আজহার উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীর কোন পদে নেই দাবী করে বলেন, অপরাধীর কোন দলীয় পরিচয় নেই, সে যে দলের হোক তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমান হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। শিশুটির পরিবার থানায় অভিযোগ করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।”
এদিকে, ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এমন ঘৃণ্য কাজ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ঘটনার পর জামায়াতের স্থানীয় নেতৃত্ব এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।