ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরাক ছেড়ে যাচ্ছে মার্কিন সেনারা

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের এক সামরিক দলের মিশন আগামী বছর ইতি টানা হবে। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইরাকের সাথে একটি চুক্তির কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সে চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন সেনারা দুই দশক ধরে দখল করে রাখা কিছু ইরাকি ঘাঁটি ছেড়ে দেশে ফিরবে।

তবে এই চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। ইরাকে বর্তমানে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে এই চুক্তির আওতায় কতোজন ইরাক ছাড়বেও তাও নিশ্চিত করে জানায়নি পেন্টাগন।

পেন্টাগনের উপ-প্রেস সচিব সাবরিনা সিং জানিয়েছেন, ‌ইরাকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে, যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো মাঝেমধ্যেই হামলা করে আসছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এই হামলার পরিমাণ আরও বেড়েছে। ইরাকের সরকারও মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইরাকে অবস্থানরত সেনাদের নিয়ে একটি দুই-পর্যায়ের পরিবর্তনের চুক্তি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায়টি সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে, যেখানে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে জোটের অভিযান শেষ হবে এবং কিছু পুরনো ঘাঁটি থেকে সেনারা চলে যাবে।

নভেম্বর নির্বাচনের পরে, মার্কিন বাহিনী পশ্চিম ইরাকের আইন-আল-আসাদ বিমানঘাঁটি এবং বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলে যেতে শুরু করবে। এই বাহিনীকে ইরাকের কুর্দিস্তানের হেরির ঘাঁটিতে স্থানান্তরিত করা হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন সৈন্যরা ইরাকে কোনো একভাবে অবস্থান করে সঠিকভাবে কাজ চালিয়ে যাবে, যাতে সিরিয়ায় আইএস বিরোধী কার্যক্রম সমর্থন করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত সামরিক মিশনটি একটি দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সম্পর্কের দিকে পরিবর্তিত হবে। তবে ভবিষ্যতে ইরাকে কতজন মার্কিন সৈন্য থাকবেন, সে সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করেননি তারা।

ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের পর কিছু মার্কিন সৈন্য হেরির ঘাঁটিতে থাকতে পারেন, কারণ কুর্দিস্তান অঞ্চলের সরকার তাদের সেখানে থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সুদানি এই মাসে একটি ভাষণে বলেন, “আমরা আইএস-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের বিষয়টি সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি।” তিনি উল্লেখ করেন, “সরকার আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতায় বিশ্বাস করে।”

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরাক ছেড়ে যাচ্ছে মার্কিন সেনারা

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের এক সামরিক দলের মিশন আগামী বছর ইতি টানা হবে। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইরাকের সাথে একটি চুক্তির কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সে চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন সেনারা দুই দশক ধরে দখল করে রাখা কিছু ইরাকি ঘাঁটি ছেড়ে দেশে ফিরবে।

তবে এই চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। ইরাকে বর্তমানে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে এই চুক্তির আওতায় কতোজন ইরাক ছাড়বেও তাও নিশ্চিত করে জানায়নি পেন্টাগন।

পেন্টাগনের উপ-প্রেস সচিব সাবরিনা সিং জানিয়েছেন, ‌ইরাকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে, যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো মাঝেমধ্যেই হামলা করে আসছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এই হামলার পরিমাণ আরও বেড়েছে। ইরাকের সরকারও মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইরাকে অবস্থানরত সেনাদের নিয়ে একটি দুই-পর্যায়ের পরিবর্তনের চুক্তি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায়টি সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে, যেখানে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে জোটের অভিযান শেষ হবে এবং কিছু পুরনো ঘাঁটি থেকে সেনারা চলে যাবে।

নভেম্বর নির্বাচনের পরে, মার্কিন বাহিনী পশ্চিম ইরাকের আইন-আল-আসাদ বিমানঘাঁটি এবং বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলে যেতে শুরু করবে। এই বাহিনীকে ইরাকের কুর্দিস্তানের হেরির ঘাঁটিতে স্থানান্তরিত করা হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন সৈন্যরা ইরাকে কোনো একভাবে অবস্থান করে সঠিকভাবে কাজ চালিয়ে যাবে, যাতে সিরিয়ায় আইএস বিরোধী কার্যক্রম সমর্থন করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত সামরিক মিশনটি একটি দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সম্পর্কের দিকে পরিবর্তিত হবে। তবে ভবিষ্যতে ইরাকে কতজন মার্কিন সৈন্য থাকবেন, সে সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করেননি তারা।

ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের পর কিছু মার্কিন সৈন্য হেরির ঘাঁটিতে থাকতে পারেন, কারণ কুর্দিস্তান অঞ্চলের সরকার তাদের সেখানে থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সুদানি এই মাসে একটি ভাষণে বলেন, “আমরা আইএস-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের বিষয়টি সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি।” তিনি উল্লেখ করেন, “সরকার আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতায় বিশ্বাস করে।”