ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক ইকবাল হত্যায় মামলা দায়ের জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর টেকনাফে অপহরণকারীদের সাথে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি: গুলিবিদ্ধ এক সুফি/কাওয়ালী সংগীত বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু কক্সবাজার শিল্পকলায় ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজার সিটি কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন ডিসি নিয়োগ ও বই ছাপানোয় অনিয়মের অভিযোগ: এনসিপি থেকে তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি উখিয়া কলেজের শিক্ষক ইকবালের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের তালিকা প্রকাশ প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল আমরা চীনের খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক নিশানের পিতার মৃত্যুতে রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার’র শোক হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’ পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে এবার গ্রেপ্তার দেখানো হল হত্যা মামলায় বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর তিনবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না কেউ

“হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, বাংলাদেশ ভয় নেই” শ্লোগানে প্রকম্পিত কক্সবাজার

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের তারাবনিয়ার ছড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ কালে আরো বেশ কিছু খন্ড খন্ড মিছিল এতে যুক্ত হয়। এসময় মিছিল থেকে শ্লোগান উঠে- হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, বাংলাদেশ ভয় নেই/ ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা/ আজাদী না দালালি, আজাদী আজাদীসহ বেশ কিছু শ্লোগান।

পরে মিছিলটি শহরের পুরাতন শহীদ মিনারে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম সুজা উদ্দিন ফিদেল কাস্ত্রোর বিখ্যাত উক্তি ‘জন্মভূমি অথবা মৃত্যু’ এর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আমরা এর জন্যই প্রস্তুত। ভারতের সাথে যতো অন্যায্য চুক্তি ও লেনদেন হয়েছে সব প্রকাশ করতে হবে।

সুজা বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর অন্যকোন রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারেনা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক শাহেদুল ওয়াহিদ বলেন, “ভারত আমাদের তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র ছিলো, তারপরও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে তাদের সুবিধা দিয়ে গেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও ভারতে বসেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক জুনায়েদ হোসাইন বলেন, ভারত বিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হামলা ও হত্যার শিকার হতে হয়েছে আমাদের ভাইদের৷ এখন সময় পাল্টেছে। ফেলানি ও আবরার ফাহাদের মতো আমরাও রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক একারামুল হক বলেন, আমরা যেকোনো মুহুর্তে প্রস্তুত। তাই আমাদের ভয় দেখিয়ে উপায় নেই।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রবিউল হোসেন বলেন, ভারত এখন বাংলাদেশের জনগণের সাথে সরাসরি শত্রুতা করছে। তারা একটি মহলকে খুশি রাখতে গিয়ে এই শত্রুতায় উপনীত হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষক ইকবাল হত্যায় মামলা দায়ের

This will close in 6 seconds

“হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, বাংলাদেশ ভয় নেই” শ্লোগানে প্রকম্পিত কক্সবাজার

আপডেট সময় : ১১:২১:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের তারাবনিয়ার ছড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ কালে আরো বেশ কিছু খন্ড খন্ড মিছিল এতে যুক্ত হয়। এসময় মিছিল থেকে শ্লোগান উঠে- হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, বাংলাদেশ ভয় নেই/ ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা/ আজাদী না দালালি, আজাদী আজাদীসহ বেশ কিছু শ্লোগান।

পরে মিছিলটি শহরের পুরাতন শহীদ মিনারে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম সুজা উদ্দিন ফিদেল কাস্ত্রোর বিখ্যাত উক্তি ‘জন্মভূমি অথবা মৃত্যু’ এর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আমরা এর জন্যই প্রস্তুত। ভারতের সাথে যতো অন্যায্য চুক্তি ও লেনদেন হয়েছে সব প্রকাশ করতে হবে।

সুজা বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর অন্যকোন রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারেনা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক শাহেদুল ওয়াহিদ বলেন, “ভারত আমাদের তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র ছিলো, তারপরও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে তাদের সুবিধা দিয়ে গেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও ভারতে বসেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক জুনায়েদ হোসাইন বলেন, ভারত বিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হামলা ও হত্যার শিকার হতে হয়েছে আমাদের ভাইদের৷ এখন সময় পাল্টেছে। ফেলানি ও আবরার ফাহাদের মতো আমরাও রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক একারামুল হক বলেন, আমরা যেকোনো মুহুর্তে প্রস্তুত। তাই আমাদের ভয় দেখিয়ে উপায় নেই।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রবিউল হোসেন বলেন, ভারত এখন বাংলাদেশের জনগণের সাথে সরাসরি শত্রুতা করছে। তারা একটি মহলকে খুশি রাখতে গিয়ে এই শত্রুতায় উপনীত হয়েছে।