ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়ায় ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করা ৩০ শিশুসহ ৩৮ রোহিঙ্গা পুলিশ হেফাজতে টেকনাফে ‘গলায় ফাঁস লাগানো’ যুবকের মরদেহ উদ্ধার প্রেমিকযুগল কে ‘অসামাজিক কাজে’ বাঁধা দেওয়ায় মহেশখালীতে যুবক খুন! টিপুকে ‘মধু ফাঁদে’ আনা হয় কক্সবাজার ছাত্রদের মিছিলে গুলি: সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা অপরাধ-বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত কর্মকর্তাকে ধরা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া মুহুর্তেই পুড়ে গেলো সেন্টমার্টিনের দুটি ইকো রিসোর্ট চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার সেভ দ্যা হিউমিনিটির সম্মাননা পেলো রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমন কান্তি চৌধুরী পদত্যাগ করলেন টিউলিপ আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সঠিক তথ্যসেবার বিকল্প নেই টেকনাফের পাহাড়ে ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করছে সরকার

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের জীবনাবসান

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 94

অনন্তলোকে পাড়ি জমালেন একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অনন্তলোকে পাড়ি জমালেন একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।

ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে পাপিয়ার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার স্বামী সারোয়ার এ আলম।তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “পাপিয়া আর আমাদের মাঝে নেই। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার দিকে চিকিৎসক তার লাইফ সাপোর্ট খুলে মৃত ঘোষণা করেছেন।”

জানাজা-দাফন কোথায় হবে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে জানাজা করে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।”

৭১ বছর বয়সী পাপিয়া সারোয়ার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে তিন বছর ধরে ভুগছিলেন। ২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়।

চিকিৎসকের বরাতে সারোয়ার এ আলম বুধবার রাত ৮টায় গণমাধ্যমে বলেছিলেন, “পাপিয়া এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমরা আত্মীয়-স্বজন সবাই আছি হাসপাতালে।

“আমার মেয়ে বিদেশ থেকে এসেছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি।”

দর্শক-শ্রোতার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানের শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের খ্যাতি রবীন্দ্রসংগীতে। আধুনিক গানেও তিনি পরিচিত।

২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। চলতি বছর চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে রবীন্দ্রমেলায় পাপিয়া সারোয়ারকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

বরিশালের মেয়ে পাপিয়া প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯৭৩ সালে তিনি রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে যান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীত দীক্ষা নেন।

তার দুই মেয়ের মধ্যে জারা সারোয়ার থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। আর ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার থাকেন কানাডায়।

ট্যাগ :

কুতুবদিয়ায় ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

This will close in 6 seconds

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের জীবনাবসান

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অনন্তলোকে পাড়ি জমালেন একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।

ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে পাপিয়ার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার স্বামী সারোয়ার এ আলম।তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “পাপিয়া আর আমাদের মাঝে নেই। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার দিকে চিকিৎসক তার লাইফ সাপোর্ট খুলে মৃত ঘোষণা করেছেন।”

জানাজা-দাফন কোথায় হবে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে জানাজা করে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।”

৭১ বছর বয়সী পাপিয়া সারোয়ার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে তিন বছর ধরে ভুগছিলেন। ২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়।

চিকিৎসকের বরাতে সারোয়ার এ আলম বুধবার রাত ৮টায় গণমাধ্যমে বলেছিলেন, “পাপিয়া এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমরা আত্মীয়-স্বজন সবাই আছি হাসপাতালে।

“আমার মেয়ে বিদেশ থেকে এসেছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি।”

দর্শক-শ্রোতার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানের শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের খ্যাতি রবীন্দ্রসংগীতে। আধুনিক গানেও তিনি পরিচিত।

২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। চলতি বছর চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে রবীন্দ্রমেলায় পাপিয়া সারোয়ারকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

বরিশালের মেয়ে পাপিয়া প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯৭৩ সালে তিনি রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে যান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীত দীক্ষা নেন।

তার দুই মেয়ের মধ্যে জারা সারোয়ার থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। আর ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার থাকেন কানাডায়।