ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শুক্রবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল মহেশখালীতে সন্ত্রাসীদের কোস্টগার্ডের ধাওয়া, সন্ত্রাসীদের গুলিতে লবণচাষী নিহত দিল্লি নয়, ঢাকায় মিলবে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কারাগারে আতাউল্লাহ – আরসার দায়িত্ব  পলাতক ‘মুখপাত্র’ শেখ বোরহানের হাতে! হোটেল ওশানের জমকালো ইফতার পার্টির অতিথি শতাধিক এতিম শিক্ষার্থী উখিয়ার তানবীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম মাটির নিচে কমছে খাবার পানি: হাহাকার বাড়ছে কক্সবাজার শহরে পুলিশকে অপরাধের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন-ওসি চকরিয়া বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম-বিপিজেএফ উখিয়ার ইফতার মাহফিল সম্পন্ন  রামু প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা সম্পন্ন রোহিঙ্গাদের ‘খাদ্য বরাদ্দ’ কমাবে না বিশ্ব খাদ্য সংস্থা!- আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা আরসা প্রধান আতাউল্লাহ : আরাকানে উত্থান, রহস্যে ঘেরা যত কর্মকান্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দোয়া কবুল হয় সিগারেটে কর বাড়ছে না আগামী বাজেটে

দেশের ওপর ১৬ বছর ধরে যেন ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে: বিবিসিকে ড. ইউনূস

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বিবিসি

বাংলাদেশে গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব পেয়ে বিস্মিত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বুধবার (৫ মার্চ) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, আমার কোনও ধারণাই ছিল না যে আমি সরকারের নেতৃত্ব দেবো। সরকার পরিচালনার কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবে সব স্থিতিশীল হওয়ার পর আমরা সবকিছু সংগঠিত করতে শুরু করি।

দেশের অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস বলেছেন, অর্থনীতি, শান্তি ও শৃঙ্খলা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অর্থনীতির অবস্থা এতটা ভয়াবহ, যেন এর ওপর দিয়ে ১৬ বছর ধরে ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে।

তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাস হতে চললেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে মনে করছেন না সাধারণ মানুষ। উল্টো তাদের ধারণা, নিরাপত্তা বরং কমেছে।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. ইউনূস বলেন, ভালো পরিস্থিতি তো আসলে আপেক্ষিক বিষয়। গত বছরের একই সময় কালের অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখবেন, পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। এখন যা হচ্ছে, সেটা অন্য সময়ের চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়।

দেশের বর্তমান অস্থিতিশীলতার জন্য সাবেক সরকারকে দায়ী করেছেন ড. ইউনূস।

বাংলাদেশে এখন অন্যতম আলোচ্য বিষয়ের একটি হলো নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ। ড ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা সামনের বছর মার্চ নাগাদ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। যদি সংস্কার কাজ যথাযথভাবে শেষ হয়, তবে ডিসেম্বরেই সেটা করা যেতে পারে। নইলে কিছুদিন বিলম্ব হবে।

সাবেক সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলেও এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা, প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এই সিদ্ধান্ত তাদের। আর কে অংশগ্রহণ করতে পারবে সেটা যাচাই করে দেখবে নির্বাচন কমিশন। আমার তো এখানে কিছু বলার নেই।

এদিকে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। বিশেষত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার পৈতৃক বাসভবন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ধ্বংসের পাশাপাশি দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দায়ী করেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, বর্তমান সরকার এসব নৃশংসতাকে ন্যায্যতা দিচ্ছে।

তবে মুহূর্তমাত্র বিলম্ব না করে এই অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে ড. ইউনূস বলেছেন, দেশে আইন আছে, আদালত আছে। তারা অনিরাপদ বোধ করলে সেখানে যাক। বিবিসির কাছে গিয়ে অভিযোগ করার কী আছে! তারা থানায় গিয়ে অভিযোগ করে দেখুক আইন নিজস্ব গতিতে চলছে কিনা।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

শুক্রবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল

This will close in 6 seconds

দেশের ওপর ১৬ বছর ধরে যেন ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে: বিবিসিকে ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৯:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব পেয়ে বিস্মিত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বুধবার (৫ মার্চ) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, আমার কোনও ধারণাই ছিল না যে আমি সরকারের নেতৃত্ব দেবো। সরকার পরিচালনার কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবে সব স্থিতিশীল হওয়ার পর আমরা সবকিছু সংগঠিত করতে শুরু করি।

দেশের অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস বলেছেন, অর্থনীতি, শান্তি ও শৃঙ্খলা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অর্থনীতির অবস্থা এতটা ভয়াবহ, যেন এর ওপর দিয়ে ১৬ বছর ধরে ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে।

তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাস হতে চললেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে মনে করছেন না সাধারণ মানুষ। উল্টো তাদের ধারণা, নিরাপত্তা বরং কমেছে।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. ইউনূস বলেন, ভালো পরিস্থিতি তো আসলে আপেক্ষিক বিষয়। গত বছরের একই সময় কালের অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখবেন, পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। এখন যা হচ্ছে, সেটা অন্য সময়ের চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়।

দেশের বর্তমান অস্থিতিশীলতার জন্য সাবেক সরকারকে দায়ী করেছেন ড. ইউনূস।

বাংলাদেশে এখন অন্যতম আলোচ্য বিষয়ের একটি হলো নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ। ড ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা সামনের বছর মার্চ নাগাদ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। যদি সংস্কার কাজ যথাযথভাবে শেষ হয়, তবে ডিসেম্বরেই সেটা করা যেতে পারে। নইলে কিছুদিন বিলম্ব হবে।

সাবেক সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলেও এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা, প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এই সিদ্ধান্ত তাদের। আর কে অংশগ্রহণ করতে পারবে সেটা যাচাই করে দেখবে নির্বাচন কমিশন। আমার তো এখানে কিছু বলার নেই।

এদিকে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। বিশেষত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার পৈতৃক বাসভবন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ধ্বংসের পাশাপাশি দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দায়ী করেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, বর্তমান সরকার এসব নৃশংসতাকে ন্যায্যতা দিচ্ছে।

তবে মুহূর্তমাত্র বিলম্ব না করে এই অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে ড. ইউনূস বলেছেন, দেশে আইন আছে, আদালত আছে। তারা অনিরাপদ বোধ করলে সেখানে যাক। বিবিসির কাছে গিয়ে অভিযোগ করার কী আছে! তারা থানায় গিয়ে অভিযোগ করে দেখুক আইন নিজস্ব গতিতে চলছে কিনা।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন