ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মহেশখালীর সলিমুল্লাহ খানসহ ১০ জন কক্সবাজার শহরে নিম্নমানের সড়ক বাতি: সন্ধ্যা হলে জ্বলেনা মহেশখালীতে দিনে বালি পাচারের অভিযোগ: রাতে খননযন্ত্রসহ ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি অনুমোদন ১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য এবার ৫ স্কুলের ১৫০ শিক্ষার্থী পাচ্ছে সুন্দর হস্তাক্ষর পুরস্কার কুতুবদিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বিজিবি টেকনাফ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করলো যেভাবে! সেন্ট মার্টিনে কুকুর নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ বাঁচতে চায় জটিল রোগে আক্রান্ত আজিজ, সাহায্যের প্রয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব এবং উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা মেলা শুরু ‘স্বেচ্ছায় পাচার’ হতে গিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে টেকনাফে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ পাপ্পু হুজি শহীদুলের আপন ভাতিজা নয়

টেকনাফ সীমান্তে ফের বিকট গোলার শব্দ!

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মংডুতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্য চলমান যুদ্ধে শুক্রবার রাত থেকে গোলার বিকট শব্দ রবিবার ভোর পর্যন্ত চলছিল। এতে নতুন করে অনুপ্রবেশের শঙ্কার পাশাপাশি সীমান্ত মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।

সীমান্তের বসবাসকারীরা বলছে, কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাং এর পূর্বে নাফনদীর ওপারে রাখাইনে মংডু টাউনশীফ বিপরীতে মংডু শহরের অবস্থান। ওই সীমান্ত এলাকায় প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘ চলমান যুদ্ধে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী বিদ্রোহী আরাকান আর্মি অধিকাংশ এলাকা তাদের দখলে নেয়। এসব জায়গা পূর্ণ-উদ্ধারে কয়েকদিন ধরে ব্যাপক হামলা চালায় দেশটির জান্তা সরকার। যার কারনে সেদেশের গোলার শব্দে এপারের সীমান্ত কেঁেপ উঠছে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘রাতভর মিয়ানমারের গোলার কারনে নির্ঘুম রাত কেটেছে। সকাল পর্যন্ত বড় ধরনের গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। তাই আমরা রাত জেগে বসে ছিলাম। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভয়ে ছিল।’
সীমান্তের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মিয়ানমারের এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবসা করছে। বর্তমানে মংডুতে হামলা হচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস। এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলেও ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশে রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক মুরর্শেদ।
এদিকে খারাংখালী,টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনায় থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। ফলে মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেপেঁ উঠছে টেকনাফ সীমান্ত।
সীমান্তেরর বাসিন্দা গফুর আলম বলেন, ‘সীমান্তের রাতভর গোলার বিকট শব্দে মানুষ ঘুমাতে পারেনি। একটু পর পরই মুহুমুহু গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে এপারে। যার কারনে ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পরি। রাতের মতো এমন গোলির শব্দ আগে কখনো শুনেনি। এ পরিস্থিতিতে যে-কোন মূর্হতে সীমান্তে আবারও অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
ক্যাম্পের বসবাসকারী এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, রাখাইনে কয়েকদিন ধরে ফের যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। যার কারনে সেদেশে থাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করছে পালিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তাদের এদেশে না আসতে নিরুসাহিত করছি। তবু মানুষ প্রাণে ভয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।;
অন্যদিকে, মিয়ানমার মংডুও শহরের মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে।, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফনদীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিনরাত নাফনদী ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে। সেটি চলমান এবং যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সব সময় প্রস্তুত বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরার সদস্যরা।।
এ বিষয়ে সদ্য যোগদানকারী টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমিও ব্যাপক গোলা বিকট শব্দ শুনেছি। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারনে এ ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সীমান্তের বসবাসকারী মানুষের খোঁজ খবর রাখছি। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’সীমান্তে গোলার শব্দে অশান্ত, ফের অনুপ্রবেশের শঙ্কা!
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মংডুতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্য চলমান যুদ্ধে শুক্রবার রাত থেকে গোলার বিকট শব্দ রবিবার ভোর পর্যন্ত চলছিল। এতে নতুন করে অনুপ্রবেশের শঙ্কার পাশাপাশি সীমান্ত মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।
সীমান্তের বসবাসকারীরা বলছে, কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাং এর পূর্বে নাফনদীর ওপারে রাখাইনে মংডু টাউনশীফ বিপরীতে মংডু শহরের অবস্থান। ওই সীমান্ত এলাকায় প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘ চলমান যুদ্ধে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী বিদ্রোহী আরাকান আর্মি অধিকাংশ এলাকা তাদের দখলে নেয়। এসব জায়গা পূর্ণ-উদ্ধারে কয়েকদিন ধরে ব্যাপক হামলা চালায় দেশটির জান্তা সরকার। যার কারনে সেদেশের গোলার শব্দে এপারের সীমান্ত কেঁেপ উঠছে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘রাতভর মিয়ানমারের গোলার কারনে নির্ঘুম রাত কেটেছে। সকাল পর্যন্ত বড় ধরনের গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। তাই আমরা রাত জেগে বসে ছিলাম। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভয়ে ছিল।’
সীমান্তের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মিয়ানমারের এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবসা করছে। বর্তমানে মংডুতে হামলা হচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস। এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলেও ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশে রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক মুরর্শেদ।
এদিকে খারাংখালী,টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনায় থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। ফলে মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেপেঁ উঠছে টেকনাফ সীমান্ত।
সীমান্তেরর বাসিন্দা গফুর আলম বলেন, ‘সীমান্তের রাতভর গোলার বিকট শব্দে মানুষ ঘুমাতে পারেনি। একটু পর পরই মুহুমুহু গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে এপারে। যার কারনে ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পরি। রাতের মতো এমন গোলির শব্দ আগে কখনো শুনেনি। এ পরিস্থিতিতে যে-কোন মূর্হতে সীমান্তে আবারও অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
ক্যাম্পের বসবাসকারী এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, রাখাইনে কয়েকদিন ধরে ফের যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। যার কারনে সেদেশে থাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করছে পালিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তাদের এদেশে না আসতে নিরুসাহিত করছি। তবু মানুষ প্রাণে ভয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।;
অন্যদিকে, মিয়ানমার মংডুও শহরের মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে।, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফনদীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিনরাত নাফনদী ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে। সেটি চলমান এবং যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সব সময় প্রস্তুত বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরার সদস্যরা।।
এ বিষয়ে সদ্য যোগদানকারী টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমিও ব্যাপক গোলা বিকট শব্দ শুনেছি। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারনে এ ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সীমান্তের বসবাসকারী মানুষের খোঁজ খবর রাখছি। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’

ট্যাগ :

কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’

This will close in 6 seconds

টেকনাফ সীমান্তে ফের বিকট গোলার শব্দ!

আপডেট সময় : ০৩:১৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মংডুতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্য চলমান যুদ্ধে শুক্রবার রাত থেকে গোলার বিকট শব্দ রবিবার ভোর পর্যন্ত চলছিল। এতে নতুন করে অনুপ্রবেশের শঙ্কার পাশাপাশি সীমান্ত মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।

সীমান্তের বসবাসকারীরা বলছে, কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাং এর পূর্বে নাফনদীর ওপারে রাখাইনে মংডু টাউনশীফ বিপরীতে মংডু শহরের অবস্থান। ওই সীমান্ত এলাকায় প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘ চলমান যুদ্ধে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী বিদ্রোহী আরাকান আর্মি অধিকাংশ এলাকা তাদের দখলে নেয়। এসব জায়গা পূর্ণ-উদ্ধারে কয়েকদিন ধরে ব্যাপক হামলা চালায় দেশটির জান্তা সরকার। যার কারনে সেদেশের গোলার শব্দে এপারের সীমান্ত কেঁেপ উঠছে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘রাতভর মিয়ানমারের গোলার কারনে নির্ঘুম রাত কেটেছে। সকাল পর্যন্ত বড় ধরনের গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। তাই আমরা রাত জেগে বসে ছিলাম। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভয়ে ছিল।’
সীমান্তের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মিয়ানমারের এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবসা করছে। বর্তমানে মংডুতে হামলা হচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস। এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলেও ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশে রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক মুরর্শেদ।
এদিকে খারাংখালী,টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনায় থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। ফলে মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেপেঁ উঠছে টেকনাফ সীমান্ত।
সীমান্তেরর বাসিন্দা গফুর আলম বলেন, ‘সীমান্তের রাতভর গোলার বিকট শব্দে মানুষ ঘুমাতে পারেনি। একটু পর পরই মুহুমুহু গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে এপারে। যার কারনে ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পরি। রাতের মতো এমন গোলির শব্দ আগে কখনো শুনেনি। এ পরিস্থিতিতে যে-কোন মূর্হতে সীমান্তে আবারও অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
ক্যাম্পের বসবাসকারী এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, রাখাইনে কয়েকদিন ধরে ফের যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। যার কারনে সেদেশে থাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করছে পালিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তাদের এদেশে না আসতে নিরুসাহিত করছি। তবু মানুষ প্রাণে ভয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।;
অন্যদিকে, মিয়ানমার মংডুও শহরের মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে।, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফনদীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিনরাত নাফনদী ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে। সেটি চলমান এবং যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সব সময় প্রস্তুত বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরার সদস্যরা।।
এ বিষয়ে সদ্য যোগদানকারী টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমিও ব্যাপক গোলা বিকট শব্দ শুনেছি। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারনে এ ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সীমান্তের বসবাসকারী মানুষের খোঁজ খবর রাখছি। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’সীমান্তে গোলার শব্দে অশান্ত, ফের অনুপ্রবেশের শঙ্কা!
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মংডুতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্য চলমান যুদ্ধে শুক্রবার রাত থেকে গোলার বিকট শব্দ রবিবার ভোর পর্যন্ত চলছিল। এতে নতুন করে অনুপ্রবেশের শঙ্কার পাশাপাশি সীমান্ত মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।
সীমান্তের বসবাসকারীরা বলছে, কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাং এর পূর্বে নাফনদীর ওপারে রাখাইনে মংডু টাউনশীফ বিপরীতে মংডু শহরের অবস্থান। ওই সীমান্ত এলাকায় প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘ চলমান যুদ্ধে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী বিদ্রোহী আরাকান আর্মি অধিকাংশ এলাকা তাদের দখলে নেয়। এসব জায়গা পূর্ণ-উদ্ধারে কয়েকদিন ধরে ব্যাপক হামলা চালায় দেশটির জান্তা সরকার। যার কারনে সেদেশের গোলার শব্দে এপারের সীমান্ত কেঁেপ উঠছে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘রাতভর মিয়ানমারের গোলার কারনে নির্ঘুম রাত কেটেছে। সকাল পর্যন্ত বড় ধরনের গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। তাই আমরা রাত জেগে বসে ছিলাম। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভয়ে ছিল।’
সীমান্তের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মিয়ানমারের এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবসা করছে। বর্তমানে মংডুতে হামলা হচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস। এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলেও ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশে রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক মুরর্শেদ।
এদিকে খারাংখালী,টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনায় থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। ফলে মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেপেঁ উঠছে টেকনাফ সীমান্ত।
সীমান্তেরর বাসিন্দা গফুর আলম বলেন, ‘সীমান্তের রাতভর গোলার বিকট শব্দে মানুষ ঘুমাতে পারেনি। একটু পর পরই মুহুমুহু গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে এপারে। যার কারনে ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পরি। রাতের মতো এমন গোলির শব্দ আগে কখনো শুনেনি। এ পরিস্থিতিতে যে-কোন মূর্হতে সীমান্তে আবারও অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
ক্যাম্পের বসবাসকারী এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, রাখাইনে কয়েকদিন ধরে ফের যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। যার কারনে সেদেশে থাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করছে পালিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তাদের এদেশে না আসতে নিরুসাহিত করছি। তবু মানুষ প্রাণে ভয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।;
অন্যদিকে, মিয়ানমার মংডুও শহরের মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে।, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফনদীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিনরাত নাফনদী ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে। সেটি চলমান এবং যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সব সময় প্রস্তুত বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরার সদস্যরা।।
এ বিষয়ে সদ্য যোগদানকারী টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমিও ব্যাপক গোলা বিকট শব্দ শুনেছি। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারনে এ ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সীমান্তের বসবাসকারী মানুষের খোঁজ খবর রাখছি। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’