টেকনাফ উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ক্যাশিয়ারখ্যাত বহু মামলার আসামী আব্দুল গফুর এখনো অধরা।
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর টেকনাফ বাহার ছড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে মাদক কারবারি টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আলমের ক্যাশিয়ার হিসাবে পরিচিত। আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন ক্ষমতা ব্যবহার করে তার নেতৃত্ব চলতো মাদক ব্যবসা। এনিয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাও রয়েছে। শুধু তাই নয় ভুমিদস্যুতা, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে হয়রানি করারসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা রয়েছে। যা মামলা নাম্বার মামলা নং ৫৪/ ২৫,। কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড়, শহীদ মিনার, গুমগাছতলা, হকশন ও আশপাশের সড়কে জনমনে আতংক ও ত্রাস সৃষ্টি, হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, বিস্ফোরক উপকরণ ব্যবহারসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলার ৪২৪ নং আসামি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এনামুল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফের স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করেন, আব্দুল গফুর আওয়ামীলীগ আমলে এলাকার সাধারণ মানুষদের জমি দখলে নিয়ে বিক্রির করে দিতেন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতো।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, থানায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদেরকে আইনে আওতায় আনার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে ।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর জাফর চেয়ারম্যান সাথে সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও ক্যাশিয়ারের বিষয় টা অস্বীকার করেন।
আওয়ামীলীগের কোনো পদে নেই জানিয়ে পূর্বশুত্রুতার জেরে তাঁকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন।