ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জীবন বাঁচালো মৌমাছির কামড়! খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠিত সৈয়দ আহবায়ক আক্তার সদস্য সচিব খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ: প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউএনও ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বৃষ্টি থাকছে জুন জুড়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস আজ রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শনিবার ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে কক্সবাজার শহর রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত কক্সবাজারে সম্পন্ন হয়েছে ‘জেন্ডার এটিকেট’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার মুবিনুল যুবদলের কেউ নয় দাবী মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক এক ২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের! কক্সবাজারে জাতীয় ফলমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

জাতিসংঘ মিশনে মনোনীত হবেন না র‍্যাব, ডিজিএফআই বা ডিবি সদস্য

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 521

যেসব সামরিক বা পুলিশ সদস্য র‌্যাব, ডিজিএফআই বা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা অথবা বিজিবি ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যুক্ত এবং ২০২৪ সালের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদেরকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের জন্য মনোনীত করা হবে না।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

২০২৪ সালে জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন (ওএইচসিএইচআর)।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারকে নানা ধরনের সুপারিশ করেছে মানবাধিকার হাইকমিশন।

সরকারের উদ্দেশে ওএইচসিএইচআর বলেছে, জাতিসংঘ শান্তি মিশন বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিশনে নিয়োজিত কোনো বাংলাদেশি কর্মী যাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, মানবিক বা শরণার্থী আইন লঙ্ঘন বা যৌন হয়রানি বা অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত না হন, তা নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর ও শক্তিশালী স্বাধীন মানবাধিকার স্ক্রিনিং ব্যবস্থা গড়ে তুলুন।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও সুশীল সমাজের মতামতের ভিত্তিতে একটি ব্যাপকভিত্তিক স্বাধীন এবং ন্যায্য যাচাই অনুসরণের মাধ্যমে পুলিশ, গোয়েন্দা, বিজিবি, আনসার ভিডিপি এবং সশস্ত্র বাহিনীর যেসব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের পদ থেকে অপসারণ করুন।

একটি অধ্যাদেশ পাস করার কথা জানিয়ে মানবাধিকার হাইকমিশন বলছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুধু সীমিত সময়ের জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত করা যেতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ পাস করুন। আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং তাদের অনুমোদন সাপেক্ষে জনগণের কাছে তাদের নিয়োগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে করা যেতে পারে।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

জাতিসংঘ মিশনে মনোনীত হবেন না র‍্যাব, ডিজিএফআই বা ডিবি সদস্য

আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যেসব সামরিক বা পুলিশ সদস্য র‌্যাব, ডিজিএফআই বা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা অথবা বিজিবি ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যুক্ত এবং ২০২৪ সালের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদেরকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের জন্য মনোনীত করা হবে না।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

২০২৪ সালে জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন (ওএইচসিএইচআর)।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারকে নানা ধরনের সুপারিশ করেছে মানবাধিকার হাইকমিশন।

সরকারের উদ্দেশে ওএইচসিএইচআর বলেছে, জাতিসংঘ শান্তি মিশন বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিশনে নিয়োজিত কোনো বাংলাদেশি কর্মী যাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, মানবিক বা শরণার্থী আইন লঙ্ঘন বা যৌন হয়রানি বা অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত না হন, তা নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর ও শক্তিশালী স্বাধীন মানবাধিকার স্ক্রিনিং ব্যবস্থা গড়ে তুলুন।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও সুশীল সমাজের মতামতের ভিত্তিতে একটি ব্যাপকভিত্তিক স্বাধীন এবং ন্যায্য যাচাই অনুসরণের মাধ্যমে পুলিশ, গোয়েন্দা, বিজিবি, আনসার ভিডিপি এবং সশস্ত্র বাহিনীর যেসব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের পদ থেকে অপসারণ করুন।

একটি অধ্যাদেশ পাস করার কথা জানিয়ে মানবাধিকার হাইকমিশন বলছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুধু সীমিত সময়ের জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত করা যেতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ পাস করুন। আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং তাদের অনুমোদন সাপেক্ষে জনগণের কাছে তাদের নিয়োগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে করা যেতে পারে।