কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউপির মধ্যম নাপিতখালী এলাকায় রেলওয়ের জায়গা দখলে বাঁধা দেওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন ও গ্রাম পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, রবিবার (৬ই জুলাই) সকালে মধ্যম নাপিতখালীর রেললাইনের পাশের একাংশ নিজের বলে দাবি করে ঘেরাবেড়া দিচ্ছিলেন হালিমুল্লাহ্। এসব দেখে স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানালে, চেয়ারম্যান ঐ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ লাল মিঞাকে ঘটনাস্থলে পাঠান এবং ঘেরা দিতে বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে।
এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ লাল মিঞা জানান, ঘটনাস্থলে গেলে হালিমুল্লাহ্ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং এক পর্যায়ে মারধরও করেন। পরে নিরুপায় হয়ে ফিরে গিয়ে চেয়ারম্যানকে সব বিষয় খুলে বলেন তিনি।
চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোছাইন জানান, রেললাইনের পাশের জমি দখল ও চৌকিদার লাল মিঞার উপর হামলার ঘটনা শুনে তিনি দুপুর ৩টায় ঘটনাস্থলে যান। তবে তার উপস্থিতিতেও চলে ঘেরা দেয়ার কাজ। এসময় বাঁধা দিলে, অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে তার উপর হামলা করে এবং গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয়রা বাঁধা দিলে পরিষদের গ্রাম পুলিশ লাল মিঞা ও স্থানীয় সালাহ্ উদ্দিন’কে মারধর করে হালিমুল্লাহ্ ও তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন।
চেয়ারম্যান দেলোয়ার আরও জানান, হালিমুল্লাহ্ নিজের দাবি করে যে জাগায়টি দখলে নিচ্ছিলো, জায়গাটি মুলত রেলওয়ে কতৃপক্ষের। যেটি এখন একই এলাকার মাষ্টার শফি, সাবেক মেম্বার দুলাল, মাওলানা মনছুর আলম, জসিমসহ্ বেশ কয়েকটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এ জায়গাটি দখলে নিতে হালিমুল্লার এমন কর্মকাণ্ড আইনের পরিপন্থি।
অন্যদিকে হালিমুল্লাহ’র ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, জায়গাটি ইতিপূর্বে আমাদের ছিল, বর্তমানে রেলওয়ের জায়গা। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে গাছের চারা রোপণ করার জন্যে গেলে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হুসাইন এর ভাই কর্তৃক হালিমুল্লাহ্ সহ্ বেশ কয়েকজনের উপর হামলা করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ ছুড়ছেন তিনি।
সর্বশেষ এ ঘটনায় আহতরূ চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ঈদগাঁও থানায় এজহার দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মছিউর রহমান জানান ঘটনাটি শুনেছি, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।