ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মহেশখালীতে ৬ সন্ত্রাসী আটক: বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে সভাপতি- মোর্তজা, সা: সম্পাদক- মো. এমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক- রানা “শেখ হাসিনার প্রিয় ছিলো আমলারা” “বিএনপির চেয়ে বড় ‘কিংস পার্টি’ আর নাই” ইনানীতে অবকাশযাপনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল টেকনাফে অপহৃত ১৫ জন উদ্ধার: গ্রেপ্তার ২ সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরনে একজনের পা বিচ্ছিন্ন: দুজন গুরুত্বর আহত লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন খালেদা জিয়া কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভূত ঢাবি’র আইবিএ তে প্রথম কক্সবাজারের রায়ান কক্সবাজার কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবীতে টেকনাফে বিএনপির মিছিল সিবিআইইউ ল এ্যালমনাই এসোসিয়েশন গঠিত কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মহেশখালীর সলিমুল্লাহ খানসহ ১০ জন

ইয়াবার টাকায় কোটিপতি উখিয়ার খোকা, দুদকের হানায় সহযোগীসহ গা-ঢাকা

“এই হাসসোবাজার, হাসসোবাজার আইয়ো আইয়ো”- একসময় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে চলাচল করা লোকাল মাইক্রোবাসে এভাবে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতেন হেলপার মাহমুদুল করিম খোকা।

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের টিএন্ডটি এলাকার মৃত ফকির আহমেদের ছেলে এই যুবক মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে ভয়ংকর মাদক ই’য়া’বার বদৌলতে তিনি বনে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক।

সীমান্ত ঘেষা অঞ্চলে বসবাসের সুবাদে মিয়ানমারের নাগরিক অসাধু রোহিঙ্গাদের যোগসাজশে স্থানীয় ১০/১৫ জন যুবক নিয়ে খোকা গড়ে তুলেন অবৈধ মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট।

প্রতিবেশী সহ স্থানীয়রা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি এই খোকাকে এখন নিজের এলাকায় দেখা পাওয়া দুঃসাধ্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খোকার এক প্রতিবেশী বলেন, ” খোকার উত্থান দেখে আমরা বিস্মিত, সে অল্প সময়ে কোটিপতি হয়ে গেছে। তাকে এখানে দেখা যায় না, ইয়াবা কারবার করে বলে শুনেছি।”

খোকার অবৈধ উপার্জনে গড়ে তোলা সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১ ডিসেম্বর) ওই আদেশ দিয়েছেন আদালত, একই সঙ্গে ওই সম্পদ দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদেশে খোকা সহ তিনজন মাদককারবারির সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

অন্য দুই মাদককারবারিরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ আলী।

খোকার স্থাবর সম্পদের মধ্যে কক্সবাজার শহরের ঝিলংজা মৌজায় ৫.৬ শতক নাল জমি এবং অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে মিনিবাস ও মাইক্রোবাস।

আনুমানিক ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দুদক।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

ইয়াবার টাকায় কোটিপতি উখিয়ার খোকা, দুদকের হানায় সহযোগীসহ গা-ঢাকা

আপডেট সময় : ১০:৫০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

“এই হাসসোবাজার, হাসসোবাজার আইয়ো আইয়ো”- একসময় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে চলাচল করা লোকাল মাইক্রোবাসে এভাবে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতেন হেলপার মাহমুদুল করিম খোকা।

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের টিএন্ডটি এলাকার মৃত ফকির আহমেদের ছেলে এই যুবক মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে ভয়ংকর মাদক ই’য়া’বার বদৌলতে তিনি বনে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক।

সীমান্ত ঘেষা অঞ্চলে বসবাসের সুবাদে মিয়ানমারের নাগরিক অসাধু রোহিঙ্গাদের যোগসাজশে স্থানীয় ১০/১৫ জন যুবক নিয়ে খোকা গড়ে তুলেন অবৈধ মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট।

প্রতিবেশী সহ স্থানীয়রা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি এই খোকাকে এখন নিজের এলাকায় দেখা পাওয়া দুঃসাধ্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খোকার এক প্রতিবেশী বলেন, ” খোকার উত্থান দেখে আমরা বিস্মিত, সে অল্প সময়ে কোটিপতি হয়ে গেছে। তাকে এখানে দেখা যায় না, ইয়াবা কারবার করে বলে শুনেছি।”

খোকার অবৈধ উপার্জনে গড়ে তোলা সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১ ডিসেম্বর) ওই আদেশ দিয়েছেন আদালত, একই সঙ্গে ওই সম্পদ দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদেশে খোকা সহ তিনজন মাদককারবারির সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

অন্য দুই মাদককারবারিরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ আলী।

খোকার স্থাবর সম্পদের মধ্যে কক্সবাজার শহরের ঝিলংজা মৌজায় ৫.৬ শতক নাল জমি এবং অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে মিনিবাস ও মাইক্রোবাস।

আনুমানিক ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দুদক।