ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিধ্বস্ত বিমানটি প্রশিক্ষণ নয়, ছিল যুদ্ধবিমান: আইএসপিআর এখন পর্যন্ত নিহত ২৭, চিকিৎসাধীন ৭৮ দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় প্রকাশসহ ৬ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ নিহত ১৭ জনই শিশু, হাসপাতালে ৮৮ ভর্তি – প্রধান উপদেষ্টা’র বিশেষ সহকারী নাইক্ষ্যংছড়িতে রছিব আলী ফায়ারিং রেঞ্জের নামফলক উন্মোচন ফাঁকা স্থানের দিকে ছুটছিলেন তৌকির – নিজের প্রথম একক ফ্লাইটেই গেলো প্রাণ ‘হাসপাতালে ছাপড়িগীরি করবি তো রাজনীতি ছাড়বো’ আইসিইউতে ৭ শিশু, ১২ জনের অবস্থা আশংকাজনক জনাকীর্ণ ঢাকা : বিমান প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত কিনা ভাববার সময় এসেছে! ঢাকায় বিমান দূর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে কুতুবদিয়ায় বিএনপির দোয়া মাহফিল যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় যুদ্ধবিমানটি : আইএসপিআর মাইলস্টোন ট্রাজেডি – নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের আহাজারি, মৃত্যু ১৯ সেন্টমার্টিনে কোস্ট গার্ডের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাঅভিযান উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক সরকারি চাকরিতে জুলাইযোদ্ধারা কোটা পাবেন না
টিটিএনের সংবাদ প্রচার

অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়া শিশু তৌহিদের জন্য ২০’হাজার টাকা অর্থসহায়তা পাঠালো উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন

  • কাব্য সৌরভ
  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • 241

‘আমি বাঁচতে চাই, আমার সহপাঠীরা খেলা করলে আমারও খেলতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারিনা, আমার দুর্বল লাগে–আমি সবার মতো বাঁচতে চাই।’ এভাবেই টিটিএনের স্ক্রিনে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছিল মহেশখালী কালারমারছড়ার ফুলের ঝিরি নামক এলাকার থ্যালাসেমিয়া রোগী শিশু তৌহিদুল ইসলাম।

টানাপোড়েনের সংসারে তৌহিদের অসহায় পিতা তার চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না, ফলে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় ১০ বছর বয়সী দুরন্তপনা এই শিশুর চিকিৎসা। বিষয়টি টিটিএনের প্রচারিত সংবাদে দেখতে পেয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা প্রবাসীদের সংগঠন ‘উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন’ ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা পাঠায়।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে তৌহিদের পিতা মো. মোজাম্মেলের হাতে এই টাকা তুলে দেন উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন হয়ে তাহাবুল আলম সৌরভ। এ-সময় তৌহিদের পিতা মোজাম্মেল আবেগাপ্লুত হয়ে উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশনের সকলকে ধন্যবাদের সাথে কৃতজ্ঞতা জানান।

এই বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি সাহেদ মোহাম্মদ বাপ্পি ও প্রচার সম্পাদক মনির উদ্দিন জানান, টিটিএনের সংবাদটি দেখার পর তৌহিদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসা যেন বন্ধ না হয় তারজন্য পরবর্তীতে আরো সহযোগিতা পাঠাবেন তারা। তারা জানান, বিভিন্নদেশে অবস্থান করা প্রবাসীদের এই সংগঠন অসহায় দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আগামীতে আরো সুদৃঢ়ভাবে মানুষের সহযোগিতায় তারা বিস্তরভাবে হাত বাড়িয়ে দিবেন।

তৌহিদের বড়বোনও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ছিল। দরিদ্র পিতা তার সবটুকু সম্পদ বিক্রি করে কন্যার চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ধারদেনা আর মজুরির টাকায় এতদিন তৌহিদের চিকিৎসা আর নিয়মিত ব্লাড দিয়ে আসলেও টানাপোড়েনের সংসারে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তৌহিদের চিকিৎসা।

ট্যাগ :

বিধ্বস্ত বিমানটি প্রশিক্ষণ নয়, ছিল যুদ্ধবিমান: আইএসপিআর

This will close in 6 seconds

টিটিএনের সংবাদ প্রচার

অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়া শিশু তৌহিদের জন্য ২০’হাজার টাকা অর্থসহায়তা পাঠালো উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন

আপডেট সময় : ০৮:২৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

‘আমি বাঁচতে চাই, আমার সহপাঠীরা খেলা করলে আমারও খেলতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারিনা, আমার দুর্বল লাগে–আমি সবার মতো বাঁচতে চাই।’ এভাবেই টিটিএনের স্ক্রিনে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছিল মহেশখালী কালারমারছড়ার ফুলের ঝিরি নামক এলাকার থ্যালাসেমিয়া রোগী শিশু তৌহিদুল ইসলাম।

টানাপোড়েনের সংসারে তৌহিদের অসহায় পিতা তার চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না, ফলে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় ১০ বছর বয়সী দুরন্তপনা এই শিশুর চিকিৎসা। বিষয়টি টিটিএনের প্রচারিত সংবাদে দেখতে পেয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা প্রবাসীদের সংগঠন ‘উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন’ ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা পাঠায়।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে তৌহিদের পিতা মো. মোজাম্মেলের হাতে এই টাকা তুলে দেন উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশন হয়ে তাহাবুল আলম সৌরভ। এ-সময় তৌহিদের পিতা মোজাম্মেল আবেগাপ্লুত হয়ে উত্তর নলবিলা প্রবাসী ফাউন্ডেশনের সকলকে ধন্যবাদের সাথে কৃতজ্ঞতা জানান।

এই বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি সাহেদ মোহাম্মদ বাপ্পি ও প্রচার সম্পাদক মনির উদ্দিন জানান, টিটিএনের সংবাদটি দেখার পর তৌহিদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসা যেন বন্ধ না হয় তারজন্য পরবর্তীতে আরো সহযোগিতা পাঠাবেন তারা। তারা জানান, বিভিন্নদেশে অবস্থান করা প্রবাসীদের এই সংগঠন অসহায় দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আগামীতে আরো সুদৃঢ়ভাবে মানুষের সহযোগিতায় তারা বিস্তরভাবে হাত বাড়িয়ে দিবেন।

তৌহিদের বড়বোনও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ছিল। দরিদ্র পিতা তার সবটুকু সম্পদ বিক্রি করে কন্যার চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ধারদেনা আর মজুরির টাকায় এতদিন তৌহিদের চিকিৎসা আর নিয়মিত ব্লাড দিয়ে আসলেও টানাপোড়েনের সংসারে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তৌহিদের চিকিৎসা।